করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি। দেশজুড়ে চলছে টিকাকরণ অভিযান। তবে এবার সেই অভিযানে আরও বেশি গতি আনতে তৎপর মোদী সরকার। বাড়ি-বাড়ি ঘুরে করোনার টিকাকরণ অভিযান চালাতে হবে, রাজ্যগুলিকে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর। দেশের ৪০টি জেলায় ৫০ শতাংশেরও কম মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। ওই জেলাগুলিতে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার প্রবণতাও খুবই কম। সম্প্রতি বেছে বেছে ওই জেলাগুলিকে নিয়েই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, এবার বাড়ি-বাড়ি ঘুরে টিকাকরণ কর্মসূচি চালাতে হবে। যোগ্যদের প্রত্যেককে যাতে টিকা দেওয়া দেওয়া যায় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকেই।
দেশ ১০০ কোটি টিকাকরণের বেঞ্চমার্ক পার করেছে বেশ কিছু দিন আগেই। তবে টিকাকরণে সেঞ্চুরি পেরনোর পরেও আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই বলেই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের ৪০টি জেলায় এখনও করোনা টিকার প্রথম ডোজও নেননি প্রায় ৫০ শতাংশ বাসিন্দা। ওই জেলাগুলিতে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া মানুষের সংখ্যাও খুবই কম। এমনই ৪০ জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টিকাকরণে গতি বাড়াতে 'কৌশল' বদলের পরামর্শ মোদীর। লোকজনকে টিকাকরণ শিবিরে আসার আবেদনের বদলে টিকাপ্রাপকদের বাড়িতে পৌঁছে যাওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর। বাড়ি-বাড়ি ঘুরে করোনা টিকাকরণে জোর দিলে সমস্যা অনেকাংশে মিটবে বলে আশাবাদী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রতিটি বাড়িতে টিকাকরণ অভিযান নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ‘হর ঘর দস্তক’ মন্ত্রের সঙ্গে যে বাড়িগুলিতে টিকার বেড়াজাল এখনও তৈরি হয়নি সেখানে পৌঁছে যেতে হবে। আশা কর্মী-সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তাঁরা মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য অনেক পথ হেঁটেছেন। আমরা ১০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ দিয়েছি। তবে এতে আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। এখন নতুন একটি সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমাদের শেষ অবধি লড়াই করতে হবে।”
আরও পড়ুন- কোভ্যাক্সিনকে হু-র স্বীকৃতি, জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারে ছাড়
জেলাশাসকদের নিয়ে ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “সংক্রমণ কমতে শুরু করলেই কখনও কখনও জরুরি বিষয়গুলি মন থেকে উধাও হতে শুরু করে। সাধারণ নাগরিদের একাংশের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার মানসিকতাও কমতে শুরু করে। সেই মানুষগুলিকে খুঁজে বের করতে হবে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। নির্ধারিত সময়েও যাঁরা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেননি, তাঁদের ভ্যাকসিন দিতে হবে। এই উপেক্ষা বিশ্বের অনেক দেশের জন্যই সমস্যা তৈরি করেছে।”
এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১২ হাজার ৮৮৫ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। একদিনে করোনায় দেশে মৃত্যু ৪৬১ জনর। বুধবার পর্যন্ত দেশে ১০৭ কোটি ৬৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৪০ জনের টকাকরণ হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই ৩০ লক্ষ ৯০ হাজার ৯২০ জনের টিকাকরণ হয়েছে।
Read full story in English
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখনটেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন