কুতুব মিনার বিতর্কে এবার বড় সড় চাঞ্চল্যকর মোড়। কুতুবউদ্দিন আইবক নন, রাজা বিক্রমাদিত্যের নির্মাণ দিল্লির এই সৌধ। এই দাবির মধ্যেই এবার নতুন তত্ব উঠে এল। আদালতকে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের দাবি, কুতুব মিনারকে মন্দিরে রূপান্তর করে সেখানে পুজোপাঠ সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, সূর্যের গতিপথ পর্যবেক্ষণের জন্য নাকি এই মিনার তৈরি করা হয়েছিল বিক্রমাদিত্যর আমলে, এমনটাই দাবি করেছিলেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিকর্তা ধর্মবীর শর্মা। তবে এদিন তাঁর দাবিকে কার্যত নস্যাৎ করে দিল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের দাবি। মঙ্গলবার আদালতে হলফনামায় এএসআই জানিয়েছে, ১৯১৪ সাল থেকে কুতুব মিনার সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর গঠন পাল্টানো সম্ভব নয়। সেখানে পুজোপাঠের যে দাবি উঠছে তা সম্ভব নয়।
১৯৫৮ সালের আইন অনুযায়ী প্রাচীন সৌধ এবং পুরাতাত্ত্বিক স্থান বা ধ্বংসাবশেষে নতুন করে গঠন পাল্টানো বা সেখানে অন্য ধরনের রীতিনীতি চালু করা বেআইনি। যখন থেকে সংরক্ষণ করা হচ্ছে সেই সময়ের পর পুনরায় পুজোপাঠ চালু করা সেখানে সম্ভব নয়। এদিন এএসআই তাঁদের হলফনামা সাকেত জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক নিখিল চোপড়ার এজলাসে জমা দেয়।
আরও পড়ুন রামরূপী কমল নাথের সঙ্গে ‘রাবণ’ শিবরাজের যুদ্ধ, ভোটের আগে মধ্যপ্রদেশে তুলকালাম
এর আগে আদালতে আবেদন জমা পড়ে কুতুব মিনার চত্বরে ২৭টি মন্দির স্বরূপ নির্মাণের সংরক্ষণ করতে হবে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিসচিব তাঁর নির্দেশে এএসআইকে ওই দুই গণেশের মূর্তি-সহ কুতুব মিনারে রাখা হিন্দু ও জৈনদের বিভিন্ন মূর্তির ছবি সাইনবোর্ডে এঁকে দিতে বলেছেন। সেখানে ওই সব মূর্তিগুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে মিনারের বয়সসীমা জানার জন্য খোঁড়াখুঁড়ির কোনও নির্দেশ কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিসচিব দেননি। একইসঙ্গে বিশেষজ্ঞ দলটি আশেপাশের আনাং তাল হ্রদও পরিদর্শন করেছে। কুতুব মিনারের পাশাপাশি, এই হ্রদকেও জাতীয় পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে এএসআই।