বিমুদ্রাকরণের পর দেশে মোট নগদের পরিমান বেড়েছে ১৯.১৪ শতাংশ। ২০১৯-এর ১৫ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া হিসেব বলছে, সারা দেশে নগদের পরিমাণ ২১.৪১ লক্ষ কোটি টাকা। বিমুদ্রাকরণের আগে ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত যা ছিল ১,৭৯৭ লক্ষ কোটি টাকা। হিসেব থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, কেন্দ্র নগদবিহীন সমাজ গড়তে চাইলেও আদতে কিন্তু নগদের জোগান বেড়েছে।
ডিজিটাল লেনদেনও যেমন একদিকে বেড়েছে, একই সঙ্গে নগদও বেড়েছে ৩ লক্ষ কোটি টাকা। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিকতম তথ্য তাই-ই বলছে। বিমুদ্রাকরণের পর দেশ থেকে ৫০০ এবং ১০০০-এর নোট তুলে নেওয়ায় ২০১৭-র জানুয়ারিতে নগদের পরিমাণ ৯ লক্ষ কোটিতে গিয়ে ঠেকেছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজিটাল লেনদেন বিকল্পহীন হওয়া সত্ত্বেও নগদের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই পরিমাণ আরও বাড়তে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ব্যাঙ্ককর্মীরা বলেন, নির্বাচনের আগে এমনিতেই নগদের পরিমাণ বাড়ে। তাছাড়া বর্ষার পর ফসল ফলানোর মরশুমের পর নগদের চাহিদা বাড়ে। স্বভাবতই জোগানও বাড়ে। উৎসবের মরশুমেও কেনাকাটির জন্য নগদের চাহিদা বাড়ে।
২০১৮ সালের আরবিআই-এর বার্ষিক রিপোর্ট বলছে বিমুদ্রাকরণের পর যে নগদের ঘাটতি হয়েছিল, বাজারে নতুন ২০০, ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট আসায়, সেই ঘাটতি পূরণ হওয়ার পরেও বাড়তি হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই নগদের জোগান ২০১৬-র ডিসেম্বরের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
২০১৬-র ৮ নভেম্বরের পর অর্থনীতি থেকে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার পর আরবিআই জানিয়েছিল, প্রায় পুরোটাই (৯৯.৩ শতাংশ) ব্যাঙ্কে ফিরে এসেছে।
বর্তমানে এটিএম মারফত ক্যাশের লেনদেনও বাড়ছে। জানুয়ারি ২০১৭ সালে ডেবিট কার্ড মারফত লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২,০০,৬৪৮ কোটি টাকা। ২০১৮-র জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,১৬,৮০৮ কোটি টাকায়। অন্যদিকে ইউপিআই মারফত মাসিক লেনদের পরিমান ১ লক্ষ কোটি ছাড়িয়েছে ২০১৮-র ডিসেম্বরেই।
Read the full story in English