সিবিআইয়ের প্রাক্তন স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রণাম রয়েছে বলে জানাল আদালত। এর আগে সিবিআই ক্লিনচিট দিয়েছে সংস্থার প্রাক্তন স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা ও ডিএসপি দেবেন্দ্র কুমারকে। প্রাক্তন সিবিআই প্রধান অলোক বর্মা ২০১৮ সালে এই দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন।
সিবিআই-এর বিচারপতি সঞ্জীব আগারওয়াল বলেন, এই মামলার তদন্তকারী অফিসার সতীশ দাগা 'ঘুষ' মামলায় রাকেশ আস্থানা সহ বাকি সরকারি আধিকারিকদের 'বাঁচানো'র চেষ্টা করেছেন। এই মামলায় তদন্ত নিয়ে আদালত ১২ ফেব্রুয়ারি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। অভিযুক্তরা কেন মুক্ত রয়েছেন তা ননিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন।
আরও পড়ুন: রক্তাক্ত দিল্লি, সরলেন পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়ক
হায়দরাবাদের এক ব্যবসায়ী সতীশ বাবু সানার অভিযোগের ভিত্তিতে রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, দুর্নীতি ও ফৌজদারি ব্যাভিচার দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের আওতায় দায়ের করা হয়। যদিও আস্থানা জানিয়েছিলেন যে অলোক বর্মার নির্দেশেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। তদন্তকারি সংস্থা জানিয়েছে যে বিতর্কিত মাংস রপ্তানিকারক মইন কুরেশির সঙ্গে সম্পর্কিত অর্থ পাচার মামলায় অভিযোগকারী সতীশ সানা বাবুকে বাঁচাতে আস্থানা কখনও ঘুষ দাবি করেছিলেন বা কোনও ঘুষ নিয়েছেন বলে প্রমাণিত হয়নি। সিবিআই এটাও প্রমাণ করতে পারেননি যে আস্থানা ও ধৃত মনোজ প্রসাদের মধ্যে কোনও যোগাযোগ রয়েছে।
অলোক বর্মার এফআইআরে বলা হয়েছিল সানা দাবি করেছিল যে মনোজ প্রসাদ তাকে বলেছিল যে তার সিবিআইয়ে ভালো যোগাযোগ রয়েছে এবং তার ভাই সোমেশ তাকে এই মামলা থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য সহায়তা করবে। সানা এরপর আরও দাবি করেছিল যে সে যখন দুবাইয়ে সোমেশের সঙ্গে দেখা করে, সোমেশ তখন তাকে বলেছিল যে আস্থানা অবশ্যই এই কাজটা করবে কারণ সে বেশ কিছু বছর ধরে দুবাই ও লন্ডনে অফিসারদের বিনিয়োগের দিকটা দেখাশোনা করে। ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছিল যে সে আস্থানার ছবি দেখে সোমেশের হোয়াটস অ্যাপে এবং প্রথম খাতে এক কোটি টাকা মনোজকে দুবাইতে দেওয়া হয় এবং দ্বিতীয় ভাগে ১.৯৫ কোটি টাকা দিল্লির রাইসিনা রোডে প্রেস ক্লাবের পার্কিং এলাকায় মনোজের চেনা সুনীল মিত্তলের হাতে দেওয়া হয়। এরপর সানা আরও অর্থ দেয় বলে দাবি করে। ওই অর্থ আস্থানার কাছে গিয়েছে বলেও অভিযোগ করে সে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন