Advertisment

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দফতরে সিবিআই হানা

"গত কয়েক বছর ধরেই ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে এবং তার বিরোধিতা করলেই হেনস্থার একটি প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Amnesty Internation, CBI

১৫০-র বেশি দেশে ৭০ লক্ষের বেশি সদস্য রয়েছে এই সংগঠনের

সিবিআই শুক্রবার বেঙ্গালুরু ও নয়া দিল্লির অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অফিসে হানা দিয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ এই মানবাধিকার গোষ্ঠী বিদেশি অনুদান আইন লঙ্ঘন করেছে।

Advertisment

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ার মুখপাত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কমকে জানিয়েছেন "সিবিআই বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আমাদের অফিস রেইড করে। আমরা আধিকারিকদের সঙ্গে সমস্তরকম সহযোগিতা করেছি।"

আরও পড়ুন, ‘রাফালের সিবিআই তদন্ত হোক’, সাংবাদিক বৈঠকে দাবি প্রশান্ত ভূষণের

এক বিবৃতিতে মানবাধিকার গোষ্ঠী জানিয়েছে, "সিবিআই আজ বেঙ্গালুরু এবং দিল্লিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড এবং ইন্ডিয়ানস ফর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ট্রাস্ট (অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া)-এর দফতরে তল্লাশি করে।"

বলা হয়েছে, "গত কয়েক বছর ধরেই ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে এবং তার বিরোধিতা করলেই হেনস্থার একটি প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অ্যামনেস্টি ইন্ডিয়া ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক আউন সম্পূর্ণ মেনে চলে। অন্যান্য জায়গার মতই ভারতেও আমাদের নীতি সার্বজনীন মানবাধিকারের জন্য লড়াই করা এবং তাকে তুলে ধরার।  দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধশালী বহুত্ববাদ, সহিষ্ণুতা এবং ভিন্নমতের ঐতিহ্য থেকে ভারতীয় সংবিধানের কিছু মূল্যবোধ সন্নিবেশিত হয়েছে।"

আরও পড়ুন, দেশদ্রোহিতা মামলায় গ্রেফতারির ১০ দিন আগে নোটিস দিতে হবে শেহলা রশিদকে

তাদের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল লন্ডনের একটি এনজিও। ১৯৬১ সালে এ সংগঠন স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে ১৫০-র বেশি দেশে ৭০ লক্ষের বেশি সদস্য রয়েছে এই সংগঠনের। সিবিআইয়ের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড, ইন্ডিয়ান্স ফর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ট্রাস্ট, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাউথ এশিয়া ফেডারেশন এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গত ৫ নভেম্বর স্বরাষ্টমন্ত্রকের তরফ থেকে পাওয়া অভিযোগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের বিদেশি মুদ্রা লঙ্ঘন আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। উক্ত সংগঠনগুলি নিষেধ সত্ত্বেও ব্রিটেনের অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল থেকে অর্থসাহায্য নিয়েছিল বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

সিবিআই জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুর তিনটি ও দিল্লির একটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে এবং তদন্ত চলবে।

২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে বেঙ্গালুরুর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দফতরে হানা দেয় ইডি।

Human Rights cbi
Advertisment