রাফাল মামলার সুপ্রিম রায় নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডাকলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অরুণ শৌরি এবং যশোবন্ত সিনহা। বৃহস্পতিবার রাফাল মামলার রায় পুনর্বিবেচনার দাবি খারিজ করে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই পুনর্বিবেচনার আবেদনকারী ছিলেন এই তিন ব্যক্তি। এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ টুইটারে লেখেন, "অরুণ শৌরি, যশবন্ত সিনহা ও আমি আজ প্রেস ক্লাবে রাফাল পর্যালোচনা রায় নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করছি। আমরা চাইছি রাফালের সিবিআই তদন্ত হোক। যদি বিষয়টি এতটাই পরিষ্কার হত, তাহলে সরকার এখন লজ্জা পাচ্ছে কেন?" উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারের রায়ের পর কংগ্রেসের দাবি, বিচারপতি জোসেফ তদন্তের জন্য বড় দরজা খুলে দিয়েছেন। তাঁরা সিবিআই তদন্ত এবং যৌথ সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে তদন্ত দাবি করেছে।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সের দাসোঁ এভিয়েশনের কাছ থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। এরপরই সিবিআই তদন্তের দাবি করে মামলা দায়ের করা হয় দেশের শীর্ষ আদালতে। ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর সেই আর্জি খারিজ করে কেন্দ্রকে ‘ক্লিন চিট’ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর 'দ্য হিন্দু' ও পরবর্তীতে 'এএনআই' সংবাদ সংস্থা কিছু গোপন নথি প্রকাশ্যে আনে। সেই নথির প্রেক্ষিতে সুপ্রিম রায়ের পুনর্বিবেচনা দাবি করে রিট পিটিশন দাখিল করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরি এবং আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এবং আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সদস্য সঞ্জয় সিং। সেই পুনর্বিবেচনার আর্জিই বৃহস্পতিবার খারিজ করে দেয় আদালত। আদালত বলে, আবেদনের যথেষ্ট ভিত্তি নেই।
আরও পড়ুন- রাফাল রায়: ক্ষমা না চেয়ে ফের তদন্তের দাবি রাহুল গান্ধীর
এমনকী রাফাল রায় শোনাতে গিয়ে রাহুল গান্ধীকেও সতর্ক করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সনিয়া-পুত্রের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত জানায়, এ ধরনের মন্তব্য করার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আরও সতর্ক হতে হবে রাহুল গান্ধীকে। গত ১৪ ডিসেম্বর ৩৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনার ব্যাপারে অনিয়ম হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে যে সব জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেগুলি সবই খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের চুক্তি প্রক্রিয়ায় আদালত সন্তুষ্ট। এই চুক্তিতে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত।
Read the full story in English