প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র এবং দুই নির্বাচন কমিশনার, রাজীব কুমার এবং অনুপ চন্দ্র পান্ডে গত ১৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ডাকা অনলাইন বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। আইন মন্ত্রকের কাছ থেকে একটি চিঠি পাওয়ার ঠিক একদিন পরেই ছিল ওই বৈঠক। একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, আইন মন্ত্রকের থেকে ওই চিঠি পাওয়ার পরেই কমিশনের অন্দরে একটি সাময়িক অস্থিরতা তৈরি হয়ছিল। চিঠিটি যেন একটি সমনের মতো ছিল। এমনকী চিঠি পাঠানোর সেই প্রক্রিয়াটিকে নজিরবিহীন এবং সাংবিধানিক নিয়ম লঙ্ঘনের মতো কাজ বলেও একটি সূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জেনেছে, যথাযথতার প্রশ্ন তুলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র এবং দুই নির্বাচন কমিশনার, রাজীব কুমার এবং অনুপ চন্দ্র পান্ডে, রিজার্ভেশন প্রকাশ করেছিলেন। তা সত্ত্বেও গত ১৬ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ডাকা ওই অনলাইন বৈঠেক তাঁদের যোগ দিতে হয়। এর আগে গত বছরের ১৩ আগস্ট এবং ৩ সেপ্টেম্বর এই ইস্যুতেই দুটি বৈঠকে হয়েছিল। সেই বৈঠক দুটিতে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা অংশ নিয়েছিলেন। যদিও কমিশনারদের সেই বৈঠকে উপস্থিত হতে হয়নি।
আরও পড়ুন- পরবর্তী সিডিএস খুঁজছে কেন্দ্র, বাড়তি দায়িত্ব নারাভানের কাঁধে
এব্যাপারে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রের মন্তব্য পাওয়া না গেলেও কমিশনের একজন সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই চিঠি পাওয়ার পর তিনি অপমানিত বোধ করেন। তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন না বলে জানান। তবে এই নোট সম্পর্কে জানতে চাইলে আইন মন্ত্রকের একজন আধিকারিকও কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে, কমিশন ও পিএমও-র ওই বৈঠক প্রসঙ্গে এক সিনিয়র আধিকারিক বলেন, “এটি আনুষ্ঠানিক একটি আলোচনা ছিল। কোনও বৈঠক নয়। কমিশনাররা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে আলোচনা করেননি। নির্বাচনী সংস্কারের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আলোচনা ছিল।” যদিও মুখ্য নির্বাচন কমিশনার তাঁর কাজে কিন্তু অবিচল রয়েছেন। বর্তমানে আসন্ন পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বৈঠকের জন্য ১৫ ডিসেম্বর তিনি চণ্ডীগড়ে পৌঁছেছেন।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন