লকডাউনের মাঝে আনলক চালু হলেও করোনার কমতি নেই। দেশে এখনও প্রভাব বিস্তার করে চলেছে এই ভাইরাস। প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই পিছিয়ে গেল জনগণনা ও জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার আপডেটের কাজ।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় জনগণনা পরিসংখ্যা অনুযায়ী বিশ্বের বৃহত্তম অনুশীলনগুলির মধ্যে একটি। যেখানে দেশের প্রতিটি এলাকায় প্রতি পরিবারকে এই হিসেবেই নিয়ে আসা হয়। এই কাজটি সঙ্গে প্রায় ৩০ লক্ষ কর্মী নিযুক্ত থাকেন। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সরকারি এক আধিকারিক বলেন, "এই মুহুর্তে জনগণনা গুরুত্বপূর্ণ কাজ নয়। যদি এক বছর পিছিয়েও যায় সেখানে বড় কোনও ক্ষতি হবে না।"
আরও পড়ুন, জয়েন্ট-নিট পরীক্ষা বাদ রেখে খেলনা নিয়ে চর্চা প্রধানমন্ত্রীর, তীব্র কটাক্ষ রাহুলের
আধিকারিক এও বলেন যে এই জনগণনা এবং এনপিআরের প্রথম ধাপ কবে হবে সে বিষয়েও এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে করোনা ভাইরাসের দাপটে যে ২০২০ সালে এই কাজ সম্ভব নয় এটা প্রায় নিশ্চিত। পয়লা এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল এই সেনসাস ও এনপিআর-এর কাজ।
সেপ্টেম্বরের শেষ অবধি হওয়ার কথা ছিল এই দুই দেশব্যাপী প্রকল্প। করোনার প্রকোপ কমলেই তবে ফের সরকার বিচার বিবেচনা করে দেখবে কবে শুরু হবে সেনসাস ও এনপিআর। সরকারি আধিকারিক জানান, "পুরো কাজের জন্য লক্ষ লক্ষ আধিকারিকদের জড়ো হওয়া প্রয়োজন। প্রতিটি পরিবারের কাছে গিয়ে গিয়ে খোঁজ খবর নিতে হবে। এই আবহে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি আমরা নিতে পারি না।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন