কেন্দ্র সোমবার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে যে আইপিসি ১২৪এ ধারা যা রাষ্ট্রদ্রোহের সঙ্গে সম্পর্কিত, তা 'পুনরায় পরীক্ষা' করার জন্য পরামর্শের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। কেন্দ্র একথা জানানোর পর রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদনের শুনানি আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ এই মামলার শুনানি স্থগিতের আদেশ দেওয়ার আগে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানির বক্তব্য রেকর্ড করেছে।
এই প্রসঙ্গে আদালত বলেছে, 'প্রশিক্ষিত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন যে ১১ মে, ২০২২ তারিখের আদেশ অনুযায়ী সরকার ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারা পুনরায় পরীক্ষা করার কাজ শুরু করেছে। আর, এনিয়ে শলা-পরামর্শও অনেকটা এগিয়েছে। এই বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুরোধের ভিত্তিতে, আমরা নির্দেশ দিচ্ছি যে এই (শুনানি) কার্যক্রমগুলো আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে করা যেতে পারে।'
এজি ভেঙ্কটরামানি বেঞ্চকে বলেন যে, 'এখনও প্রক্রিয়াটি চলছে। সংসদে যাওয়ার আগেই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গেলে, সম্ভবত সেটা যে আকারের হতে চলেছে, তা আমার কাছে আসবে। যেহেতু বেঞ্চ সরকারি অবস্থান জানার জন্য শুনানি স্থগিত করতে সম্মত হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল অনুরোধ করেছেন যে এটি আগস্টে শুনানির জন্য স্থির করা যেতে পারে। আর ভেঙ্কটরামানি আদালতকে জানিয়েছেন, 'সরকারও ব্যাপারটাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাপ্ত করতে আগ্রহী। সম্ভবত বাদল অধিবেশনেই কিছু একটা হতে পারে।'
আরও পড়ুন- ধর্মীয় পর্যটনে অসাধারণ সুযোগ দিল সরকার, ঘোষণা হতেই মিলছে ব্যাপক সাড়া
এর আগে শুনানির সময়, আবেদনকারীর কয়েকজন আইনজীবী বলেছিলেন যে ১৯৬২ সালের কেদারনাথ সিং মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদ্রোহের বিষয়টি সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানো হোক। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ইতিমধ্যেই ১২৪এ ধারা বহাল রেখে এর অপব্যবহার রোধ করার চেষ্টা করেছে কোনটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং কোনটি নয়, তা স্থির করে। এর প্রেক্ষিতে গত বছরের মে মাসে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে যে, সরকার এই আইনের বিরুদ্ধে নানারকম দৃষ্টিভঙ্গির কথা মাথায় রেখে আইনটি বদলানোর যায় কি না, তা দেখছে।