নয়া তথ্য-প্রযুক্তি আইন মেনে চলুন। টুইটারকে 'শেষ নোটিস' ধরিয়ে স্পষ্ট করল কেন্দ্র। সাফ জানানো হয়েছে, নিয়ম না মানলে এরপর কড়া পদক্ষেপ করতে ভারত সরকার পিছপা হবে না।
নয়া ডিজিটাল আইন নিয়ে টুইটারের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত পুরনো। নয়া ডিজিটাল আইনের ‘মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হবে’ বলে দাবি করে টুইটার কর্তৃপক্ষ। যদিও সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্ট ফের টুইটারকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলে। তার মধ্যেই উপরাষ্ট্রপতি ও আরএসএস প্রধানের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নীল টিক সরিয়ে আগুনে ঘি ঢালে টুইটার। এরপরই শনিবার মাইক্রোব্লগিং সাইটকে কেন্দ্রের কড়া চিঠি তার পাল্টা বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- প্রশ্নের মুখে টিকানীতি! ঢেউ আটকাতে কমাতেই হবে দুটি ডোজের ব্যবধান: ল্যান্সেট
টুইটারের আইন উপদেষ্টা জিম বেকারকে উদ্দেশ করে তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের সাইবার আইন গ্রুপ সমন্বয়কারী রাকেশ মহেশ্বরীর লেখা চিঠিতে বলে হয়েছে যে, 'ভারতে তথ্য-প্রযুক্তি আইন মেনে চলতে হবে। কেন্দ্রের তরফে শেষ চিঠি দিয়ে আবারও তা জানানো হল। আইন মেনে না চচা দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন না মানলে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য ভারত সরকার দায়ী থাকবে না।'তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের সাইবার আইন গ্রুপ সমন্বয়কারী রাকেশ মহেশ্বরী টুইটারের শীর্ষ
আরও পড়ুন- Coronavirus Delhi unlock:সুস্থ হতেই দিল্লিতে ধাপে ধাপে আনলক, খুলছে দোকান-বাজার
এই চিঠিতে টুইটারকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সংস্থা এ দেশের তথ্য-প্রযুক্তি আইন না মানলে এটা স্পষ্ট হবে যে তারা ভারতীয় গ্রাহকদের গোপনীয়তা ও সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে যে দেশে টুইটারকে সাদরে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল, তার মধ্যে ভারত অন্যতম। এই বিষয়টি মনে করিয়ে দেওয়া হয় চিঠিতে। পাশাপাশি লেখা হয়, এসত্ত্বেও টুইটার কর্তৃপক্ষ ভারতীয় গ্রাহকদের সুরক্ষার জন্য আইন মেনে নেওয়ার বিষয়টি খারিজ করছে।
কেন্দ্রের তরফেও গত ২৬ মে জানানো হয়, বাকি সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়াগুলি নতুন আইন মেনে কমপ্লায়েন্স অফিসার, একজন নোডাল অফিসার ও অভিযোগ জানানোর জন্য এক আধিকারিককে নিয়োগ করলেও টুইটার সেই নিয়ম মানছে না। যা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে তরজা তুঙ্গে ওঠে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন