সমকামী বিবাহের স্বীকৃতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মুলতুবি থাকা আবেদনের বিরোধিতা করেছে কেন্দ্র। এই ব্যাপারে মোদী সরকার জানিয়েছে, এই সমস্যার সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। তাই বিষয়টি আইনসভার হাতেই ছেড়ে দেওয়া উচিত। একইসঙ্গে সরকার আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, ব্যক্তিগত আইন দ্বারা পরিচালিত বর্তমান ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করা, 'দেশে ব্যক্তিগত আইনের সূক্ষ্ম ভারসাম্য এবং স্বীকৃত সামাজিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিপর্যয় ঘটাবে।'
শীর্ষ আদালতে দাখিল করা হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, 'সংসদ দেশের বিবাহ আইনগুলো তৈরি করেছে। এই আইনগুলো শুধুমাত্র মিলনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের রীতিনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিগত আইন বা সংহতিবদ্ধ আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। একজন পুরুষ এবং একজন মহিলাকে এক্ষেত্রে আইনি অনুমোদনের জন্য সক্ষম হতে হয়। আর, এর মাধ্যমে আইনি এবং বিধিবদ্ধ অধিকার এবং ফলাফল তারা দাবি করতে পারে। আর, এর মধ্যে কোনওপ্রকার হস্তক্ষেপ দেশের ব্যক্তিগত আইনের সূক্ষ্ম ভারসাম্য নষ্ট করবে। পাশাপাশি, স্বীকৃত সামাজিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ বিপর্যয়ের কারণ হবে।'
কেন্দ্র বলেছে, 'বিবাহের ধারণাটি অনিবার্যভাবে বিপরীত লিঙ্গের দুই ব্যক্তির মধ্যে মিলনের পূর্বাভাস দেয়। এর সংজ্ঞা সামাজিকভাবে, সাংস্কৃতিকভাবে এবং আইনগতভাবে বিবাহের ধারণা এবং ধারণার মধ্যে নিহিত। যাকে, বিচারের ব্যাখ্যা দ্বারা লঘু করা উচিত নয়।' বিবাহ সংক্রান্ত আইনের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্র জানিয়েছে, 'এই আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ছিল বিবাহকে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার মিলন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া। এই আইনে ব্যবহৃত ভাষা যেমন মহিলা, নারী, স্বামী, স্ত্রী- ইত্যাদিই প্রমাণ যে এই আইন কেবলমাত্র বিষমকামী বিবাহকেই স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে। যা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট সংজ্ঞা দিতেই সক্ষম।'
আরও পড়ুন- ঘনিষ্ঠকে চিনের প্রধানমন্ত্রী বানালেন শি জিনপিং, কে এই লি কিয়াং?
একইসঙ্গে কেন্দ্র জানিয়েছে, 'এই আইনে লিঙ্গ নির্দিষ্টকারী ভাষা ব্যবহার সংসদের সচেতন সিদ্ধান্ত ছিল। যাতে সংসদের স্পষ্ট অভিপ্রায় ধরা পড়েছে। যাদেরকে এই আইনে শ্রেণিভুক্ত করা হয়নি, তাদেরকে এই আইনের আওতায় আনা উচিত নয়। সেটা করা হলে, তা আইনের ভাষাকে সম্পূর্ণ বিকৃত করবে।'