সিএএ নাগরিকত্ব আইন ভাঙবে না। শীর্ষ আদালতকে এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। সিএএর গ্রহণযোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আসু)-সহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। তার প্রেক্ষিতেই জবাবে কেন্দ্রীয় সরকার আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছে। সেই হলফনামায় নাগরিকত্ব নিয়ে সরকারের বক্তব্য জানিয়েছে। পাশাপাশি, সিএএ নিয়েও সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
২০১৯ সালে সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বা সিএএ আইন তৈরি হয়েছে। যা ঘিরে দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে। প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছে সংসদেও। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছে, সিএএ নিয়ে 'আশঙ্কা অমূলক ও ভিত্তিহীন'। একথা বললেও, কার্যত দু'রকম অবস্থানের সম্ভাবনা উসকে দিয়ে হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, 'এই আইন অসমে বেআইনি অনুপ্রবেশ রোখার জন্য তৈরি হয়েছে'।
অতীতে এই বেআইনি অনুপ্রবেশের কথা বলেই অসমে এনআরসি চালু করেছে মোদী সরকার। ১৯৭১ সালের পরবর্তী সময়ে ভারতে থাকার নথি যাঁরা জোগাড় করতে পারেননি, তাঁদের জেলবন্দি করেছে। তাঁদের গায়ে কার্যত অনুপ্রবেশকারীর তকমাও সেঁটে দিয়েছে হিমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বাধীন অসমের বিজেপি এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কিন্তু, এক্ষেত্রেই উঠেছে নানা প্রশ্ন। দেখা গিয়েছে, একই পরিবারে একজনের নথি থাকায় তাঁকে নাগরিকের স্বীকৃতি দিয়েছে। আর, সেই পরিবারেরই অন্যজনের নথি না-থাকায় তাঁকে অনুপ্রবেশকারীর তকমা দিয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘চুপ করে থাকুন’, কোর্টে ঢোকার মুখে মেজাজ হারিয়ে ধমক পার্থর
শুধু তাই নয়। মোদী সরকারের এই এনআরসি চালুর জেরে অসমের বহু বাঙালি ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। তাঁদের সম্পত্তি হারিয়েছেন। এমনকী, জেলেও যেতে বাধ্য হয়েছেন। তবে, তারপরও এনআরসি নিয়ে অবস্থানে কোনও বদল আনেনি মোদী সরকার। হলফনামায় সরকার বলেছে, 'সিএএতে আইনি পথে নাগরিকত্ব নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করা হয়নি। উলটে সঠিক নথি এবং ভিসা-সহ নাগরিকত্বকে এই আইনে স্বাগত জানানো হয়েছে। বিশেষ করে তিনটি দেশের বাসিন্দাদের ভারতে নাগরিকত্ব নিতে চাওয়াকে সিএএ স্বাগত জানিয়েছে।'
Read full story in English