/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/10/cats-138.jpg)
গাজিয়াবাদ গণ ধর্ষণ মামলায় নয়া মোড়।
গাজিয়াবাদ গণধর্ষণ মামলায় নয়া মোড়। গাজিয়াবাদ পুলিশ বছর ৩৬-এর এক মহিলাকে অপহরণ ও গণ ধর্ষণের অভিযোগে ইতিমধ্যেই চারজনকে আটক করেছে। এরপরই এই মামলা নয়া মোড় নিয়েছে । গাজিয়াবাদ পুলিশ বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে গণ ধর্ষণের ঘটনাটি 'মিথ্যা' বলে দাবি করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে পুরো বিষয়টি মহিলার ষড়যন্ত্র। কারণ মহিলা এবং অভিযুক্তদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে যে এই ঘটনায় মহিলাকে যে তিনজন সাহায্য করেছেন তাদের ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মহিলার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে পুলিশ।
মিরাট রেঞ্জের আইজি প্রবীণ কুমার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, "সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে অভিযুক্তকে জড়িত করার জন্য একটি মিথ্যা গল্প ফাঁদে ওই মহিলা। তিনি আজাদ নামে একজন ব্যক্তির সঙ্গে যোগসাজশে পুরো ঘটনাটি সাজিয়েছিলেন। পুলিশ আজাদকে গ্রেফতার করেছে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে আজাদের দুই সহযোগীকে। ষড়যন্ত্রে ব্যবহৃত একটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ"।
এই ঘটনায় দিল্লি কমিশন ফর উইমেন প্রধান স্বাতি মালিওয়াল টুইট করে বলেন যে মহিলাকে একটি পাটের ব্যাগে মোড়ানো, তার হাত-পা বাঁধা এবং তার গোপনাঙ্গে একটি লোহার রড ঢোকানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমে পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতারও করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : < দিওয়ালির আগে উত্তরাখণ্ড সফরে মোদী, দর্শন করবেন কেদার ও বদ্রীধাম >
जनपद गाजियाबाद के थाना नंदग्राम से सम्बन्धित प्रकरण मे महिला द्वारा अपने साथियो के साथ षडयंत्र रचते हुए दर्शायी गई झूठी घटना के खुलासे के सम्बन्ध मे प्रेस ब्रीफिंग करते हुए श्रीमान @igrangemeerut व #SSP_GZB@IPSMUNIRAJ.1/N@CMOfficeUP@UPGovt@homeupgov@Uppolice@NCWIndiapic.twitter.com/jtA12Q8HUo
— GHAZIABAD POLICE (@ghaziabadpolice) October 20, 2022
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে "যখন পুলিশ ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য পায়, তখন মহিলাকে প্রথমে গাজিয়াবাদের একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তিনি ডাক্তারি পরীক্ষা করতে অস্বীকার করেন। এমনকি মিরাটের একটি হাসপাতালেও তার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো সম্ভব হয়নি। এরপরই, মহিলাকে দিল্লির জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়। মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি"।
তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে ওই মহিলার পূর্বপরিচিত আজাদের মোবাইল ফোন বন্ধ। এতেই সন্দেহ হয় পুলিশের । এরপরই মহিলাকে জেরা করা হয়। জেরার তিনি ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করেছেন। মহিলা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের সঙ্গে তার সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল, তাদের নামে মিথ্যা বদনাম রটনার জন্যই এই পথ নেন ওই মহিলা।