বেড়েছে সমুদ্রের জলস্তর। তার ফলে চরম বিপদে চেন্নাই, কলকাতার মত দেশের বেশ কয়েকটি শহর। এমনই সতর্কবার্তা শোনালেন পরিবেশবিদরা। তাঁদের মত, এই জলস্তরবৃদ্ধি আঞ্চলিকভাবে প্রভাব ফেলছে। সমুদ্রের তরঙ্গ বা জলস্ফীতি ঘটাচ্ছে। যার প্রভাব পড়তে চলেছে উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোয়। তবে, শুধু চেন্নাই বা কলকাতাতেই নয়। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গাতেই এই জলস্তর বৃদ্ধি প্রভাব ফেলবে। যেমন উত্তর-পূর্ব আমেরিকাতেও উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলো ভাসবে বলেই পরিবেশবিদদের মত।
তাঁরা মনে করছেন, এশিয়ায় ব্যাপারটা মারাত্মক আকার ধারণ করবে। তবে, শুধু সমুদ্রের জলস্তরই নয়। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এশিয়ার কয়েকটি শহরে বায়ুদূষণ মারাত্মক আকার নেবে। বর্তমানে গ্রিনহাউস গ্যাস যেভাবে বেরোচ্ছে, সেই একই গতিতে বেরোতে থাকলে চরম বিপাকে পড়বে কলকাতা, চেন্নাই, ইয়াঙ্গন, ব্যাংকক, হো চি মিন সিটি এবং ম্যানিলা। আর বেশি দেরি নেই। ২,১০০ সালের মধ্যেই যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে যাবে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
আরও পড়ুন- লোকসভা নির্বাচনে একা লড়বে তৃণমূল, কেন এমন সিদ্ধান্ত?
সমীক্ষার ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সমুদ্রের জলস্তরের ওপর পড়ছে। সেকথা মাথায় রেখে কোন অঞ্চলগুলোয় বেশি প্রভাব পড়তে চলেছে, তা চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের সেই গবেষণার ফলাফল, 'নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ' জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ফলে বাতাসের তাপমাত্রা বাড়ছে। তার জেরেই বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর।
বিশেষজ্ঞরা তাঁদের রিপোর্টে জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাতাসে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঘটায় মেরুপ্রদেশে বরফ ক্রমশ গলছে। আর, তার জেরেই মারাত্মক রকম বৃদ্ধি ঘটছে সমুদ্রের জলস্তরের। মহাসাগরগুলো সেই জল এসে মেশায় ফুলে উঠছে। এই গবেষণায় এল নিনোর মতো ঘটনা বা জলচক্রের পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিকভাবে ঘটে যাওয়া সমুদ্রপৃষ্ঠের ওঠানামাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে, সঠিক সম্ভাব্য ফলাফল আন্দাজ করা বিশেষজ্ঞদের পক্ষে আরও সহজ হয়ে উঠেছে। তাঁরা গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন, ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া জলস্তরের কারণেই আঞ্চলিক জলবায়ুর পরিবর্তন নির্দিষ্ট কিছু স্থানে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ২০-৩০% বৃদ্ধি করতে পারে। সৃষ্টি করতে পারে ভয়াবহ বন্যার।