প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ দেশকে পঞ্চম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন উপহার দিয়েছেন। ট্রেনটি চেন্নাই থেকে মাইসুরু হয়ে বেঙ্গালুরু যাবে। এটি দক্ষিণ ভারতে প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এবং দেশের পঞ্চম বন্দে ভারত ট্রেন। বেঙ্গালুরুর কেএসআর স্টেশন থেকে এই ট্রেনের সূচনা করেন মোদী।
“মেক ইন ইন্ডিয়া” প্রকল্পের আওতায় এটি ভারতের পঞ্চম সেমি হাইস্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার সকালে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন তিনি। ব্যাঙ্গালুরুর কেম্পেগৌডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল উদ্বোধন, ভারত গৌরব কাশী দর্শন ট্রেনের উদ্বোধন সহ একগুচ্ছ প্রকল্প উদ্বোধনে কর্ণাটক গিয়েছেন মোদী।
রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে ইতিমধ্যেই এই রুটে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ের মধ্যে শতাব্দী এক্সপ্রেস, বৃন্দাবন এক্সপ্রেস, গুয়াহাটি এক্সপ্রেস, লালবাগ এক্সপ্রেস, চেন্নাই এক্সপ্রেস, কাবেরী এক্সপ্রেস এবং চেন্নাই মেল সহ বেশ কয়েকটি ট্রেন রয়েছে, কিন্তু 'বন্দে ভারত' এর গতি এবং বৈশিষ্ট্য অন্যান্য সকল ট্রেনকে পিছনে ফেলে দেবে। তিনি বলেন, 'ট্রেনটি একদিকে যেমন যাতায়াতের সময় কম করবে তেমনই ভ্রমণের ক্ষেত্রেও যাত্রীদের নতুন অভিজ্ঞতা দেবে'।
আরও পড়ুন: < নাইরোবিতে তদন্তকারী দল! নিখোঁজ ২ ভারতীয়’র সন্ধানে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস বিদেশমন্ত্রকের >
রেলের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, “ট্রেনটি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে চলবে। পূর্ণ ক্ষমতায় চললে ট্রেনটি মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই পৌঁছাবে"। দেশের পঞ্চম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন এবং দক্ষিণ ভারতের প্রথম বন্দে ভারত ট্রেন। ট্রেনটি চেন্নাই থেকে কাটপাডি জংশন,বেঙ্গালুরু হয়ে মাইসোর যাবে। চেন্নাই থেকে মাইসুরু পৌঁছতে এই ট্রেনের সময় লাগবে সাড়ে ছয় ঘণ্টা। চেন্নাই থেকে মাইসুরুর দূরত্ব ৫০০ কিলোমিটার।
অটোমেটিক ট্রেন প্রোটেকশন সিস্টেম বসানো হয়েছে নতুন এই ট্রেনে। যাত্রী রক্ষীদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ভয়েস রেকর্ডিং সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। ট্রেনে আধুনিক ফায়ার ডিটেকশন সিস্টেম বসানো হয়েছে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি ছাড়াও যাত্রীরা ট্রেনের ভিতরে বাতাস বিশুদ্ধিকণের বিশেষ সুবিধাও পাবেন। এর জন্য একটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সিস্টেম বসানো হয়েছে।
এই বৈশিষ্ট্যগুলি ছাড়াও, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের অন্যান্য শক্তিশালী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা এই ট্রেনটিকে সবচেয়ে আধুনিক ট্রেনগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে। এর দুর্দান্ত বৈশিষ্ট্য হল এই ট্রেনটি মাত্র ১২৯ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে যাত্রা করতে সক্ষম। বন্দে ভারত-এর প্রথম সংস্করণে এই সময় ছিল ১৪৫ সেকেন্ড। অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে আরও ভাল ফ্লোর প্রুফিংয়ের সঙ্গে এয়ার কন্ডিশনার প্রযুক্তিও উন্নত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-এর ভিশনকে মাথায় রেখে, প্রধান ট্রেন সিস্টেমগুলি ভারতে ডিজাইন ও তৈরি করা হয়েছে। ২০২৩ সালের আগস্টের মধ্যে সারা দেশে ৭৫ টি বন্দে ভারত ট্রেন চালানোর লক্ষ্য রয়েছে।