ছত্তিশগড়ে ফের মাওবাদী হামলা। সাতসকালে সিআরপিএফ ক্যাম্পে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি মাওবাদীদের। মাওবাদীদের গুলিতে তিন সিআরপিএফ কর্মী জখম হয়েছেন। তড়িঘড়ি এয়ারলিফ্ট করে আহত জওয়ানদের রায়পুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে আহতদের শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।
বস্তার পুলিশের আইজি জানিয়েছেন, ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলার এলমাগুন্ডা এলাকার একটি সিআরপিএফ ক্যাম্পে এদিন হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা। এই হামলায় তিনজন সিআরপিএফ কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দেশি পিস্তল নিয়ে সিআরপিএফ ক্যাম্পে চড়াও হয় মাওবাদীদের একটি দল। সাতসকালে ক্যাম্পে ঢুকে হামলা শুরু করতেই তাদের পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করেন সিআরপিএফ-এর সেকেন্ড ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরাও। মাওবাদী ও সিআরপিএফ জওয়ানদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ চলে গুলির লড়াই। পরে জঙ্গলের পথ ধরে পালায় মাওবাদীরা।
বস্তারের আইজি পি সুন্দররাজ জানিয়েছেন, এদিন মাওবাীদের হামলায় হেড কনস্টেবল হেমন্ত চৌধুরি এবং কনস্টেবল বাসপ্পা ও ললিতবাগ আহত হয়েছেন। তবে তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছেন। গুলি লাগার পরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের এয়ারলিফ্ট করে রায়পুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধান কমল, ফের করোনার দাপট বাড়তেই বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
এদিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিআরপিফের কয়েকজন আধিকারিক জানিয়েছেন, মাওবাদীরা এদিন গুলি চালানোর পাশাপাশি গ্রেনেড হামলাও চালিয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই সুকমার এলমাগুন্ডায় সিআরপিএফের এই ক্যাম্পটি তৈরি হয়। গত ১৮ মার্চ এই ক্যাম্পে হোলির উৎসবে মেতেছিলেন জওয়ানরা। হোলির দিন এই এলাকার আশেপাশের গ্রামগুলিতে ওষুধ এবং অন্যান্য উপযোগী সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছিল সিআরপিএফের তরফে। এমনকী নিরাপত্তাবাহিনীর তরফে মধ্যাহ্নভোজের জন্য গ্রামবাসীদের আমন্ত্রণও জানানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, বছর দুই আগে এলমাগুন্ডা থেকে ফেরার সময় মাওবাদীদের অতর্কিতে হামলায় মিনপায় ১৭ জন ডিআরজি কর্মী নিহত হয়েছিলেন। সিআরপিএফের সিনিয়র অফিসাররা জানিয়েছেন, তখন থেকেই মিনপা এবং এলমাগুন্ডায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অলআউট অভিযানের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। বস্তারের আইজি বলেন, ''আমরা ক্যাম্পের আশেপাশের পুরো এলাকা এবং জঙ্গলে তল্লাশি চালাচ্ছি। এফআইআর দয়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে।''
Read story in English