Advertisment

ভোটের মুখে ফের মাওবাদী হামলায় চিন্তায় ছত্তীসগড়

পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন যে, আগামী কয়েকদিন খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং সকলকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। ১২ নভেম্বর ভোটের দিন সবথেকে বিপজ্জনক দিন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
maoist, মাওবাদী

হামলার পর বিস্ফোরণস্থল। ছবি: দীপঙ্কর ঘোষ, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

পাহাড়ি রাস্তায় পড়ে রয়েছে ইঞ্জিনের তেল, বাসটি উল্টে রয়েছে, একেবারে ক্ষতবিক্ষত চেহারা। বাসের ইঞ্জিনের অন্যান্য যন্ত্রাংশগুলো চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ঘটনাস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে ছিটকে পড়েছে ইঞ্জিন ফ্যান। আইডি বিস্ফোরণের জেরে রাস্তায় তৈরি হয়েছে গর্ত। যেখানে আধখোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে নোটবুক। গতকাল ছত্তীসগড়ে মাওবাদী হামলার পর এ ছবিই চোখে পড়েছে দান্তেওয়াড়ায়। মাত্র ক’দিনের ফারাকে আবার ভোটমুখী সে রাজ্য মাওবাদী হামলার শিকার হল। এবং আবারও ঘটনাস্থল সেই দান্তেওয়াড়া। গতকাল মাওবাদীদের আইইডি বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে যাত্রীবাহী বাস। যে হামলায় প্রাণ গিয়েছে এক জওয়ান-সহ পাঁচজনের।

Advertisment

এদিন হামলার পরই ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ আধিকারিকরা। বিস্ফোরণ স্থলে যান তদন্তকারীরাও। বিস্ফোরণ স্থল থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। একজন রহস্যের সুরে বললেন যে, একটা তার পাওয়া গিয়েছে, যা থেকেই আইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। আরেক আধিকারিক বললেন যে, ইঞ্জিনের নীচেও বিস্ফোরণ ঘটতে পারত।

এ নিয়ে গত দুসপ্তাহে তিনবার এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটল সে রাজ্য। গত ২৭ অক্টোবর বিজাপুর জেলায় হামলায় নিহত হন চারজন সিআরপিএফ জওয়ান। এ ঘটনার তিনদিন পর, দান্তেওয়াড়ায় অতর্কিতে হামলা চালায় মাওবাদীরা। যে হামলায় দূরদর্শনের এক চিত্র সাংবাদিক ও দুই পুলিশকর্মী নিহত হন। বুধবার উসুর এলাকায় একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় মাওবাদীরা।

আরও পড়ুন: দান্তেওয়াড়ায় ফের মাওবাদী হামলা; এক জওয়ান-সহ মৃত ৫

এ ঘটনা প্রসঙ্গে অ্যান্টি নকশাল অপারেশনের স্পেশাল ডিজি ডি এম অবস্থি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন যে, গত ৩০ অক্টোবরের হামলার পরই আন্দাজ করা গিয়েছিল যে আগামী দিনগুলো আরও বিপজ্জনক হতে পারে। তিনি আরও বলেন, "পুরোটাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে এটা ঠিক যে পুলিশের সঙ্গে যদি সংবাদকর্মীরা একসঙ্গে গ্রামে ঢোকেন, তবে কী ঘটতে চলেছে খুব সহজেই তার আন্দাজ পাওয়া যায়।" হামলা প্রসঙ্গে দান্তেওয়াড়ার জেলাশাসক সৌরভ কুমার বলেছেন যে, সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক ভূমিকা পোষণ করতেই এই হিংসার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

এই প্রথমবার নয়, ভোটের মুখে আগেও হিংসার ঘটনা ঘটেছে বস্তারে। ২০১৪ সালের এপ্রিলে লোকসভা ভোটে জোড়া বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন সাতজন ভোটকর্মী ও পাঁচজন সিআরপিএফ জওয়ান। এদিনের হামলার পর পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন যে, আগামী কয়েকদিন খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং সকলকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। ১২ নভেম্বর ভোটের দিন সবথেকে বিপজ্জনক দিন। যদি এই হামলাগুলো ইঙ্গিতপূর্ণ হয় তবে বুঝতে হবে আরও অনেক বাকি রয়েছে, মাওবাদীরা তৈরি হয়ে রয়েছে।

Read the full story in English

Maoist national news
Advertisment