ফের চিনে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৮৭ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের। যদিও গত ৬ মাসে এটাই কোভিডে প্রথম মৃত্যু। বেজিং এবং সারা দেশে নতুন প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একাধিক নতুন ব্যবস্থা আরোপ করেছে। চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন সূত্রে খবর দীর্ঘ ৬ মাসের মধ্যে এটাই প্রথম কোভিডে মৃত্যুর ঘটনা। এর আগে গত ২৬ মে শেষবারের মত কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর রিপোর্ট করা হয়।
যদিও চিন সামগ্রিক টিকাদানের হার ৯২% তবে সেই সংখ্যাটি বয়স্কদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে কম - বিশেষ করে ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে টিকাদানের হার মাত্র ৬৫% এ নেমে আসে। সেদেশের স্বাস্থ্য কমিশন সর্বশেষ মৃত ব্যক্তির আদৈও টিকা নিয়েছিলেন কিনা সে ব্যাপারে কিছু জানায় নি।
চিন জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো অন্যান্য দেশের তুলনায় তার কঠোর নীতি কোভিড নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভাবে কাজে লেগেছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ১০ নভেম্বর থেকে বেজিংয়ের কিছু অংশে কভিড-১৯ বিধিনিষেধ আরও কঠোর করেছে কর্তৃপক্ষ। সতর্কতা হিসেবে সরকার অনেক পর্যটন স্থান বন্ধ করে দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ চাওয়াং জেলার বেশ কয়েকটি এলাকাকে উচ্চ বা মাঝারি-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যদিও রাজধানীর অন্যান্য অংশেও সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: <নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা! চলন্ত অটোরিকশায় বিস্ফোরণের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুললো পুলিস>
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের তাদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে এবং শুধুমাত্র ডেলিভারি পরিষেবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা মাঝারি-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকেদের তাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে থাকতে এবং ব্যস্ত সময়ে কেনাকাটা এড়াতে বাধ্য করছেন। দেশের অনেক জায়গায় লকডাউনের পরিস্থিতি রয়েছে এবং অনেক জায়গায় লোকজনকে ঘর থেকে বের না হতে বলা হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে পরিবহনেও।