পূর্ব লাদাখের ঘটনার পর ইন্দো-চিন (Indo-China standoff) সম্পর্কে প্রভাব পড়েছে। যার রেশ দক্ষিণ এশিয়া ও বিশ্বে প্রতিফলিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার এমন দাবি করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। চিনা স্টাডিজের (China Studies) ১৩তম সর্বভারতীয় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিদেশমন্ত্রী। সেই মঞ্চকে ব্যবহারর করে জয়শঙ্কর (S Jayshankar) বলেন, 'ওরা (চিন) শুধু অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি করেনি। বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শান্তি বিঘ্নিত করেছে।'
তাঁর মন্তব্য, 'আমরা এখনও বেজিংয়ের থেকে এমন আচরণের যুক্তিযুক্ত জবাব চাইছি আর সীমান্ত (LAC) থেকে সেনা সরানোর অপেক্ষায় আছি।' সম্প্রতি সিকিমের নাথু লায় ফের একবার সংঘাতে জড়ায় ইন্দো-চিন সামরিক বাহিনী। এই ঘটনায় ভারতীয় কয়েকজন জওয়ানের জখম হওয়ার খব্র মিলেছে। ভারতের ভূখণ্ডে পিএলএ-র পেট্রোলিং পার্টিকে আটকাতে গিয়ে এই সংঘাত বাঁধে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই খবর।
আরও পড়ুন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সায়, LAC থেকে দ্রুত সেনা সরাতে চায় ভারত-চিন
বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, 'পূর্ব লাদাখের ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছে। চিনের অবস্থান আগামিদিনেও এক থাকলে, সম্পর্কের উন্নতির সম্ভাবনা নেই।' সম্পর্কের উন্নতি তখন সম্ভব, যখন দ্বিপাক্ষিকস্তরে শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, সংবেদনশীলতার জায়গা তৈরি হয়। এমন বার্তাও বেজিংকে দেন বিদেশমন্ত্রী। দ্বিপাক্ষিক অবস্থানের অপর ভিত্তি করে সীমান্তে শান্তি বজায় থাকে। কিন্তু এখন সেই শান্তি বিঘ্নিত ফলে বিঘ্নিত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। এমনটাই জানান বিদেশমন্ত্রী।
এমনকি, চিনকে বার্তা দিয়ে তাঁর মন্তব্য, 'সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায়ে কাজ করছে ভারত। অপর প্রান্ত শান্তি বিঘ্নিত করতে উদ্যোগ নিলে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়।' সেই শান্তি ও স্থিতিশীলতা কায়েম রাখতে দ্বিপাক্ষিকভাবে আলোচনা চলছে। সম্মেলনে স্পষ্ট করেন বিদেশ মন্ত্রী।