বালির বৈঠকে কি কাটল তাইওয়ান জট? অন্তত চিনের তো তা-ই দাবি। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বালিতে জি-২০ এর বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠক শেষে চিনের দাবি, প্রেসিডেন্ট বাইডেন নাকি 'এক চিন' নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তাইওয়ানে চিন হামলা চালাতে পারে, এমন কোনও সম্ভাবনাও নাকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট দেখছেন না। প্রায় দুই বছর হয়ে গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন বাইডেন। ক্ষমতায় বসার পর থেকেই তিনি বিশ্বের মহাশক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে বিরোধ দূর করার চেষ্টা করছেন। বর্তমানে গোটা বিশ্বে আর্থিক এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উত্তেজনা বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ বিশ্বকে ধরে রাখার জন্য বাইডেনের চেষ্টা আপামর বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। তবে, ক্ষমতায় আসার পর চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে এই প্রথমবার সরাসরি বৈঠক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইন্দোনেশিয়ার এক বিলাসবহুল হোটেলে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বৈঠক হয়েছে। বেশ কয়েকঘণ্টা ধরে তাঁদের বৈঠক চলে। বৈঠকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন যে 'তাইওয়ান প্রশ্নটি চিনের গভীর স্বার্থের সঙ্গে জড়িত'। আর, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই 'প্রথম লাল রেখা' আমেরিকার অতিক্রম করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন- ‘নেহরু ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আপস করেছিলেন’, জওহরলালে জন্মদিনেই মারাত্মক অভিযোগ শীর্ষ কংগ্রেস নেতার
এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত মুখ না-খুললেও বাইডেন পরে জানিয়েছেন, 'আজ, আমি গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমাদের দুই দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা যাতে সংঘর্ষে পৌঁছে না-যায় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রভাবিত না-করে, সেই পথ খুজে বের করতে আমরা দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা করেছি।'
এর আগে সম্প্রতি তাইওয়ান ইস্যুতে চিনের সঙ্গে আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। তাইওয়ানে মার্কিন কূটনীতিকের সফরের বিরোধিতা করে চিন। পালটা তাইওয়ানের স্বাধীন নীতির পক্ষে সুর চড়ায় আমেরিকা। তাইওয়ানে গিয়ে সেখানকার প্রশাসকদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার বার্তা দেন মার্কিন কূটনীতিকরা। জবাব দিতে তাইওয়ানকে ঘিরে ব্যাপক সামরিক মহড়া চালায় চিন। যা কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করে দেয় ওই অঞ্চলে। সেই উত্তেজনাই কিছুটা হলেও প্রশমিত হল মার্কিন ও চিনের প্রেসিডেন্টের বৈঠকে।
Read full story in English