গালওয়ানের ঘটনার পরবর্তী অধ্যায়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিক্রিয়ার পরিস্থিতির অবসান ঘটেছে। ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হওয়ার পথে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডং। তাইওয়ান এবং তিব্বত (শিজাং) পরিস্থিতি নিয়েও তিনি মুখ খুলেছেন। ওয়েডং জানিয়েছেন, চিনের স্বার্থ গভীরভাবে জড়িত, এমন বিষয়গুলো ভারত সঠিক দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখবে। চিনের রাষ্ট্রদূতের এই মন্তব্যকে অত্যন্ত গুরুত্বের চোখে দেখছে নয়াদিল্লি। কারণ, এই প্রথম তাইওয়ানের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক এবং তিব্বতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ককে এক আসনে বসাল চিন।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার ৭৩তম বার্ষিকী ভার্চুয়ালি পালন করেছেন ওয়েডং। এরপর বুধবার ওয়েডঙের বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে ওয়েডং বলেছেন, 'ভারত-চিনের বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। গালওয়ান উপত্যকার উত্তেজনা এখন স্তিমিত। চিন চায় ভারতের সঙ্গে সামরিক এবং কূটনৈতিক বৈঠক চালিয়ে যেতে। আলোচনার মাধ্যমেই ভারত সীমান্তের শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে চিন বদ্ধপরিকর।'
আরও পড়ুন- অবিবাহিতদের গর্ভপাতে অনুমতি, বৈবাহিক ধর্ষণও ধর্ষণই, যুগান্তকারী রায় সুপ্রিম কোর্টের
ইতিমধ্যেই ভারত-চিন সামরিক বাহিনীর মধ্যে ১৬তম বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের ফলশ্রুতিতেই জিয়ানান দাবান (গোগরা হট স্প্রিং) এলাকা থেকে ভারত এবং চিনের সেনা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর গতমাসেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, সীমান্ত পরিস্থিতিই ভারত এবং চিনের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার প্রথম সূত্র। তিনি জানান, দুই দেশই যদি পরস্পরের স্পর্শকাতরতা বুঝতে পারে, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে এবং পরস্পরের স্বার্থের প্রতি নজর দেয়, তবেই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা সম্ভব। গোগরা হট স্প্রিং থেকে ভারত এবং চিন সেনা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করার পর জয়শংকর প্রতিক্রিয়ায় জানান, দুই দেশের সমস্যা একটু হলেও কমল।
পালটা স্পর্শকাতর সমস্যাগুলোর ব্যাপারে বলতে গিয়ে নয়াদিল্লির চিনা রাষ্ট্রদূত বলেন, 'প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু, মূল বিষয় হল যে আমরা কীভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করছি। আমরা ক্ষুদ্র লাভের জন্য বৃহত্তর স্বার্থের জলাঞ্জলি দিই না।'
Read full story in English