China faces Covid-like virus outbreak: বছরের শুরুতেই চরম আতঙ্ক। চিনে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ছে ভয়ঙ্কর HMPV ভাইরাস। কতটা প্রস্তুত ভারত? কী জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক?
ফিরে দেখা ২০২০! মুহূর্তে সব কিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। মৃত্যুমিছিল, লকডাউন থমকে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। ফের ২০২৫ সালের শুরুতেই ভয়ঙ্কর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে চিনে। হুহু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা মহামারীতে বিশ্বজুড়ে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু, বিশ্বজুড়ে লকডাউন এই সব কিছুকে যখন কিছুটা সামলে নিয়েছে বিশ্ব। তখনই তান্ডব শুরু নয়া এই ভাইরাসের।
আরও একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে দাবানলের গতিতে। যার আতঙ্ক ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাসের নাম হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (HMPV)। চিনে হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়েছে রোগীর সংখ্যা। রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে চিনে শুরু হয়েছে মৃত্যুমিছিল। নয়া এই ভাইরাস ভারতের জন্য এই কতটা বিপজ্জনক? ভারত এই ভাইরাসের দাপট ঠেকাতে কী কী ব্যবস্থা নিতে চলেছে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিবৃতি সামনে এসেছে।
চিনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার সময় শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে যে দেশে ভাইরাসের সংক্রমণ এবং শ্বাসযন্ত্রজনিত রোগের সংখ্যায় বিশেষ কোন হেরফের হয়নি। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বলেছে, তারা গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে তারা।
মিলল হিংস্র জন্তুর পায়ের ছাপ, পুরুলিয়া-ঝাড়খণ্ড সীমানায় ফের বাঘের আতঙ্ক
ডিজিএইচএস-এর ডিরেক্টর ডাঃ অতুল গয়ালও একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, চিনে যে ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে সেই ভাইরাসের কারণে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, সাধারণ সর্দি-কাশির মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
ভাইরাসটি বয়স্ক এবং শিশুদের মধ্যে ফ্লু-এর মতো উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। তিনি শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ভারতে শ্বাসযন্ত্রের সক্রমণে আক্রান্ত রোগীদের ডেটা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে । ডিসেম্বর যা পরিসংখ্যান সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে শ্বাসযন্ত্রের সক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যার বিশেষ বৃদ্ধি হয়নি। পাশাপাশি ভারতীয়দের সংক্রমণ এড়াতে স্বাভাবিক কিছু সতর্কতা অবলম্বন করারও পরামর্শ দিয়েছেন।
সর্দি-কাশির মত উপসর্গ থাকলে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। ভিড়ে মাস্ক পরা বা ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, স্যানিটাইজারের ব্যবহার করা এই সকল সাধারণ বিষয়গুলি মেনে চলার পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। শীতকালে শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা এমনিতেই বেশি থাকে।
চিনে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি এর আগে ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসে প্রথম ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাস সাধারণত সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, গবেষকরা অনুমান করেছেন যে শিশুদের মধ্যে প্রায় ১০% থেকে ১০% শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণ এইচএমপিভি ভাইরাস। ৫% থেকে ১৬% শিশুর নিউমোনিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
এইচএমপিভি ভাইরাস থেকে বাঁচতে কী করবেন?
সাবান ও জল দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়া।
অপরিচ্ছন্ন হাতে মুখ স্পর্শ না করা।
সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা।