চিনে ভয়াবহ বন্যায় ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সে দেশের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর চিনের দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে এক ডজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিউজ আউটলেট সিজিটিএন সূত্রে খবর চিনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ সিচুয়ানে, প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৬ জন প্রাণ হারান এবং সেই সঙ্গে আরও ১২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। শনিবার পর্যন্ত ১৩০০ লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ গানসুর লংনান শহরে, আরও ছ'জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং ৩হাজার মানুষকে বন্যা কবলিত এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পূর্ব ঝেজিয়াং প্রদেশ এবং সাংহাই সহ বেশ কয়েকটি প্রদেশে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের খবর মিলেছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের চরম আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটেছে। একাধিক এলাকায় নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা।
আরও পড়ুন: <ময়লা ফেলার গাড়িতে মোদী-আদিত্যনাথের ছবি, ভিডিও ভাইরাল হতেই চাকরি গেল সাফাইকর্মীর>
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর ১৯৬১ সালের পর একাধিক এলাকায় রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিচু এলাকায় বসবাসকারীদের উঁচু জায়গায় সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বন্যায় বিপর্যস্ত দেশের অর্থনীতি। একাধিক প্রদেশে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। গত কয়েকদিনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ৯৮.৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
চিনের পাশাপাশি জার্মানিতে খরার কারণে রাইন নদীর জলস্তর কমে যাওয়ায় পণ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ অংশেও তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে আবহাওয়া দফতরের বুলেটিনে বলা হয়েছে আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।