প্রতিবেশী চিন-সহ কয়েকটি দেশে করোনা ব্যাপকহারে ছড়াচ্ছে। তাই নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার। এই ব্যাপারে সরকার নির্দেশিকাও জারি করেছে। জরুরি বৈঠক ডেকেছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে কেন্দ্রের এতটা উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। তবে, নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়াতে পারে। তার জন্য সতর্কতা জরুরি।সেই সতর্কতা বজায় রাখার পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত সপ্তাহের হিসেব করলে দেখা যাবে যে গড়ে দৈনিক ২০০ করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। গোটা দেশে বর্তমানে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৫০০। এই পরিস্থিতিটা বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর প্রাক্তন মহামারিবিদ্যা এবং সংক্রামক রোগের প্রধান ডা. আর আর গঙ্গাখেদকর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, 'এই সময়টায় বিশেষ করে, আমাদের করোনার নতুন রূপের বিবর্তনের ওপর ভীষণভাবে নজর রাখতে হবে।'
করোনা নিয়ে এত উদ্বেগের কারণ, চিন ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আর, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চিনে বিপুল সংখ্যক লোকের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, করোনা ভাইরাস নতুন এবং সম্ভাব্য আরও বিপজ্জনক রূপে বিবর্তিত হতে পারে। যা অন্য কোনও সংক্রমণের নতুন তরঙ্গকে বাড়িয়েও তুলতে পারে। গঙ্গাখেদকর এই প্রসঙ্গে জানান যে এমন সম্ভাবনা থাকলেও এই আশঙ্কা যে সত্যি হবেই, সেটা কিন্তু কোনওভাবেই নিশ্চিত নয়।
আরও পড়ুন- ‘ভিড়ে মাস্ক পরুন, বুস্টার ডোজ নিন’, চিনে করোনা-বিস্ফোরণের পরই সতর্ক করল কেন্দ্র
শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞদের একাংশের স্পষ্ট কথা, 'এই ধরনের তরঙ্গ, যেখানে ভাইরাস খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে, সেটা কিন্তু খুব বেশি দিন স্থায়ী হয় না। তাছাড়া অনেক মানুষ একই সময়ে সংক্রমিত হন। কার্যকর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সাথে, বর্তমান তরঙ্গ শীঘ্রই শেষ হয়ে যায়। এর ফলে ভাইরাস নতুন করে রূপ বদলে বিকাশের জন্য যথেষ্ট সময় নাও পেতে পারে।' আইসিএমআরের জাতীয় কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সঞ্জয় পূজারি এই প্রসঙ্গে বলেছেন যে, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বর্তমান উপবংশগুলিই বর্তমানে চিন এবং অন্যত্র ছড়াচ্ছে। তা এই মুহূর্তে ভারতের জন্য মোটেও বড় কোনও ঝুঁকির ব্যাপার না।
Read full story in English