পূর্ব লাদাখে প্রায় দুবছর অতিক্রান্ত। এখনও দু-পক্ষই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে এবছর চিনে বসতে চলেছে ব্রিকস (BRICS) সম্মেলন। তার আগে নয়া দিল্লির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা বাড়াতে চায় বেজিং। আলোচনার শুরুতে বেশ কিছু কর্মসূচি ভারতকে জানিয়েছে শি জিনপিং (Xi Jinping) প্রশাসন। তার মধ্যে অন্যতম হল দুই দেশের প্রতিনিধিদের সফর।
বেজিং চাইছে, চিনের স্টেট কাউন্সিলর তথা বিদেশ মন্ত্রী ওয়াং উই (Wang Yi) ভারত সফরে যান। এই মাসেই ভারতে আসতে পারেন তিনি। একই ভাবে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী ডা. এস জয়শঙ্করও (S Jaishankar) চিন সফরে আসুন, চাইছে বেজিং। একইসঙ্গে চিনের তরফে প্রস্তাব রাখা হয়েছে, সে দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিক এবং পলিটব্যুরো সদস্যদের উচ্চপর্যায়ের সফর হোক ভারতে।
চিন আরও প্রস্তাব দিয়েছে, ভারত-চিন সভ্যতা আলোচনা হোক দুই দেশে। ভারত-চিন বাণিজ্য এবং বিলগ্নি সমন্বয় ফোরাম এবং ভারত-চিন ফিল্ম ফোরাম তৈরি করা হোক। তবে চিনের মূল উদ্দেশ্য হল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) যেন ব্রিকস সম্মেলনে উপস্থিত থাকেন। সেখানে থাকবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও (Vladimir Putin)। চিন চলতি বছরই রাশিয়া-ভারত-চিন ত্রিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজন করছে। ব্রিকসের পাশাপাশি এই বৈঠকে তিন দেশের রাষ্ট্রনেতারা বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন বিপাকে মস্কো, পুতিনদের বিরুদ্ধে ভোট ভারতীয় বিচারকের, অসন্তুষ্ট চিন
বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক চাপানউতোরের কারণে জিনপিংয়ের সঙ্গে একমঞ্চে মোদীর হাজির থাকা কার্যত অসম্ভব। কারণ, সীমান্ত বিবাদ এখনও মেটেনি। শেষবার ২০১৯ সালের নভেম্বরে ব্রাজিলে ব্রিকস সম্মেলনে দুজন মুখোমুখি হন। তার ঠিক এক মাস আগে জিনপিং ভারত সফরে এসেছিলেন। মহাবলীপুরমে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মোদীর সঙ্গে।
শেষবার ২০১৭ সালে চিনের শিয়ামেনে ব্রিকস সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন মোদী। উল্লেখ্য, ডোকলাম সীমান্ত বিবাদ সেই সম্মেলনের ঠিক আড়াই মাস আগেই মিটে যায়। এবছর মন্ত্রী-পর্যায়ের সফর নিয়ে আগ্রহ দেখিয়ে আদতে ভারতের সঙ্গে ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগাতে চাইছে চিন।