China US Trade War: শুল্ক যুদ্ধের মাঝে ট্রাম্পের হুঙ্কার, বিশ্ব বাণিজ্য তোলপাড়

China US Trade War: শুল্ক যুদ্ধে জর্জরিত চিন। এবার সরাসরি আমেরিকার বৈঠকে বসার আহ্বান। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় দাবি ঘিরে বিশ্বজুড়ে জোর চর্চা।  মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, চিন সহ বিশ্বের সকল দেশই আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে চায়। ট্রাম্প তার শুল্ক নীতির প্রেক্ষাপটে এই বিবৃতি দিয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন, চিন সহ বিশ্বের সকল দেশ আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে চায়। ট্রাম্প তার ট্যারিফ নীতি প্রসঙ্গে এই বিবৃতি দিয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের এই শুল্ক নীতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং অনেক দেশের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, "সবাই এখন আমেরিকার সঙ্গে দেখা করতে চায়, এমনকি চিনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আগ্রহ  প্রকাশ করেছে"। ট্রাম্প আরও বলেন যে তিনি মেক্সিকান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি ফোনে কথা বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে সেই আলোচনা খুবই ইতিবাচক ছিল। এর পাশাপাশি, ট্রাম্প জাপানের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক কর্মকর্তাদের সাথেও দেখা করেন। সেই বৈঠকে বাণিজ্য এবং শুল্ক সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়।  তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'ট্রুথ সোশ্যাল'-এ লিখেছেন, "মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা খুবই ফলপ্রসু ছিল। জাপানের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের সাথেও বৈঠক আশানুরূপ  হয়েছে। প্রতিটি দেশ, এমনকি চিনও আমেরিকার সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।"

বিশ্ববিদ্যালয়ে এলোপাথাড়ি গুলি! কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে পরপর মৃত্যু, চরম চাঞ্চল্য

চিনের উপর ২৪৫% নতুন শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

ট্রাম্প প্রশাসন চিনা পণ্যের উপর ২৪৫% পর্যন্ত নতুন শুল্ক (আমদানি কর) ঘোষণা করেছে। এতে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। চিনও আমেরিকার এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। অপরদিকে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনা শুরু করার প্রস্তুতি চলছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য এই সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফর করতে পারেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, বাণিজ্য বিভাগের কর্মকর্তা রাজেশ আগরওয়াল এই দলের নেতৃত্ব দিতে পারেন। গত মাসে, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ ভারত সফর করেছিলেন (২৫-২৯ মার্চ) এবং দু'দেশের বাণিজ্য নিয়ে উভয় দেশের মধ্যেই কথা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য শুল্ক আরোপ স্থগিত করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে, উভয় দেশই এই সময়ে একটি বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে  ঐকমত্যে পৌঁছাতে চায়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, শীঘ্রই দু'দেশের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে সম্পন্ন হতে পারে।