Advertisment

ভারত-চিন সম্পর্কে মাথা গলাবে না, ওয়াশিংটনকে ধমকি বেজিঙের, ফাঁস করল পেন্টাগন

কংগ্রেসের কাছে পেশ করা রিপোর্টে এই নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে মার্কিন সেনার সদর কার্যালয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
sco summit,narendra modi,china,ladakh,chinese president xi jinping

ভারত-চিনের সম্পর্ক নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন মাথা না-গলায়। কার্যত এই ভাষাতেই আমেরিকাকে সতর্ক করেছে চিন। মার্কিন কংগ্রেসকে রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদর কার্যালয় পেন্টাগন। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বরাবর ভারতের সঙ্গে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছে বেজিং। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের সংকটের তীব্রতাও কমিয়ে আনার চেষ্টা করেছে। এমনকী, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কোনও কিছু বাধা হলে, সেই বাধাও দূর করার চেষ্টা করেছে বেজিং।

Advertisment

মার্কিন কংগ্রেসকে দেওয়া সর্বশেষ রিপোর্টে পেন্টাগন বলেছে, বেজিং চায় না ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে। কারণ, ভারত-চিন সম্পর্ক খারাপ হলেই নয়াদিল্লি ক্রমশ ওয়াশিংটনের দিকে ঝুঁকে যাবে। এতেই চিনের সবচেয়ে বড় আপত্তি। এই ব্যাপারে সেনা তার রিপোর্টে মার্কিন কংগ্রেসকে বলেছে, 'চিন সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির জেরে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাছাকাছি আসুক, এটায় পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার তীব্র আপত্তি আছে। আর, সেই কারণেই চিনের আধিকারিকরা ভারত-চিন সম্পর্কে নাক না-গলানোর জন্য মার্কিন আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।'

আরও পড়ুন- সজোরে ধাক্কা দুটি লোকাল ট্রেনের, শিয়ালদহে হূলস্থূল

কোন পরিস্থিতিতে ভারত-চিন সম্পর্ক দাঁড়িয়ে আছে, রিপোর্টে সেই ব্যাপারটাও স্পষ্ট করেছে পেন্টাগন। ওই রিপোর্টে পেন্টাগন জানিয়েছে, গোটা ২০২১ জুড়ে চিন তার ভারত সীমান্তে সেনাবাহিনীর জন্য কাঠামো নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। সীমান্ত চিনের সেনাবাহিনীর মোতায়েন অব্যাহত রেখেছে। উভয় দেশের মধ্যে আলোচনা একদমই প্রায় এগোয়নি। সব মিলিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে ন্যূনতম আলোচনা হয়েছে।

২০২০ সালের মে থেকে, চিন ও ভারতের বাহিনী এলএসি বরাবর একাধিক স্থানে কাঁটাতারে মোড়ানো পাথর, লাঠিসোঁটার মত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে। উভয়পক্ষের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। ফলে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়। সীমান্তের উভয় দিকে বাহিনী মোতায়েন শুরু হয়। পেন্টাগনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'উভয় দেশই পরস্পরের বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি করেছিল। সঙ্গে, অচলাবস্থার আগেকার পরিস্থিতিতে ফিরে যাওয়ার দাবি করেছিল। কিন্তু, বাস্তবে চিন এবং ভারত, কোনও দেশই সেই প্রস্তাবে একমত হয়নি।'

Read full story in English

China Army America Indian army
Advertisment