চিনে গ্যাং বরখাস্ত! অনুপস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ জল্পনার অবসান

সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে বেজিং।

সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছে বেজিং।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Qin Gang

দায়িত্ব থেকে একমাসের অনুপস্থিতির পরে মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংকে (বামদিকে) তাঁর পদ থেকে অপসারণ করল চিন। তিনি ওয়াং ই আই-এর জায়গায় বিদেশমন্ত্রী হয়েছিলেন (ডানদিকে)।

বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংকে অপসারণ করল চিন। এমনটাই জানিয়েছেন চিনের সরকারি গণমাধ্যম। বিদেশমন্ত্রী হিসেবে গত একমাস তাঁকে কোনও কাজ করতে দেখা যায়নি। এমনকী, সর্বজনসমক্ষেও আসেননি তিনি। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছিল জল্পনা। এর পরেই মঙ্গলবার চিন তার বিদেশমন্ত্রীকে অপসারণের কথা ঘোষণা করল। এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে এই ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisment

গ্যাংয়ের সঙ্গে গত মাসখানেক ধরে ঠিক কী ঘটেছে, তা-ই নিয়েই এখন প্রতিবেশী দেশটিতে জল্পনা তুঙ্গে। ৫৭ বছর বয়সি কিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। সেখানে তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে গত ডিসেম্বরে বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু, বেজিংয়ে ২৫ জুন বিদেশ থেকে আসা কূটনীতিবিদদের সঙ্গে দেখা করার সময় থেকে তাঁকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তিনি ইন্দোনেশিয়ায় একটি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক শীর্ষ সম্মেলনেও যোগ দেননি। তার ফলে চিনের সদ্য অপসারিত বিদেশমন্ত্রীকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে।

এই পরিস্থিতিতে চিনের বিদেশ দফতর জানিয়েছিল, স্বাস্থ্যের সমস্যার কারণে গ্যাং তাঁর কাজ বন্ধ রেখেছেন। যদিও, সেই বক্তব্যে বিশ্বাস করেননি অনেকেই। ফলে, গ্যাংয়ের অভাব নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ক্রমশই বাড়ছিল। বিশ্লেষক এবং কূটনীতিবিদদের মতে, এই ঘটনাই প্রমাণ যে চিনে শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে স্বচ্ছতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বন্দ্ব, পারস্পরিক সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আপাতত গ্যাংয়ের অভাব পূরণ করছেন ৬৯ বছর বয়সি ওয়াং ই আই। গ্যাংয়ের আগে এই ওয়াং ই আই চিনের বিদেশমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৮ থেকে ২০২২, এই চার বছর তিনি চিনের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। চিনের বিদেশ দফতর অবশ্য গ্যাংয়ের অপসারণের কারণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

Advertisment

আরও পড়ুন- এক্কেবারে ভারতের হাল! সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে বিবাদ, কী করলেন নেতানিয়াহু?

বর্তমানে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিনের ইউক্রেন ইস্যু এবং তাইওয়ান নিয়ে সমস্যা রয়েছে। গ্যাং আগে আমেরিকায় রাষ্ট্রদূত ছিলেন। যার ফলে তিনি দুই দেশের সম্পর্কের অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা নিতে পারতেন। কিন্তু, তাঁর অপসারণ এক্ষেত্রে চিনকে কিছুটা হলেও সমস্যায় ফেলবে।

china USA Foreign Minister