ভারতের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠকে জোর দিতে চায় চিন। চেন্নাইয়ের পর এবার তৃতীয় ঘরোয়া বৈঠকে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিনে আমন্ত্রণ জানালেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চিনা প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন মোদী। নমোর সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক করতে একদিনের ভারত সফরে এসেছিলেন জিনপিং। ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে মোদী-জিনপিং বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়নি বলেই খবর।
চিনা প্রেসিডেন্টের ভারত সফরে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উঠতে পারে বলে মনে করেছিল ওয়াকিবহাল মহল। তবে শি জিনপিংয়ের দু'দিনের এই ভারত সফরে কাশ্মীর নিয়ে কোনও কথাই হয়নি বলে জানিয়েছেন বিদেশ সচিব বিজয় গোখেল। তিনি বলেন, ‘‘কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থান খুব স্পষ্ট। এটা সম্পূর্ণ আমাদের দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার’’।
আরও পড়ুন: মামাল্লপুরম সৈকত পরিষ্কার করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, দেখুন ভিডিও
src="https://www.youtube.com/embed/UvrQJ6j9O7U" width="100%" height="415" frameborder="0" allowfullscreen="allowfullscreen">
প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের বিরোধিতা জানিয়ে বিশ্ব দরবারে সোচ্চার হয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের সঙ্গে চিনের ‘মধুর’ সম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। এই প্রেক্ষাপটে চিনা প্রেসিডেন্টের ভারত সফর ঘিরে নজর রেখেছিল কূটনৈতিক মহল। এমনকি, মোদীর সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠকের মুখে চিন ও পাকিস্তানের যৌথ বিবৃতিতে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলা হয়। যেখানে বলা হয়, জম্মু-কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে চিনকে জানানো হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে জম্মু-কাশ্মীর পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে চিন। কাশ্মীর ইস্যু যথাযথ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাধান করার কথা বলা হয় যৌথ বিবৃতিতে। এরপর জিনপিংয়ের সফরের মুখেই কড়া ভাষায় নয়া দিল্লি জানিয়ে দেয়, ভারতের অবস্থান বরাবরই স্পষ্ট। জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। চিন ভাল করেই ভারতের এই অবস্থান সম্পর্কে অবগত। ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা অন্য দেশের কাজ নয়।
Read the full story in English