আবারও চিনা সেনার অনুপ্রবেশ? লাদাখের নয়োমার ব্লক ডেভেলপমেন্ট চেয়ারপার্সন Urgain Chodon-এর দাবি এমনটাই। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, ''গত ২৮ জানুয়ারি চিনা সেনা আমাদের দিকে ঢুকে পড়েছিল। এদেশে ঢুকে পড়ে তারা আমাদের পশুর পাল তাড়া করে। তবে কাউকেই ওরা নিয়ে যায়নি।'' শুক্রবার নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে ডগবুক নামে ওই এলাকার ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও টুইট করেছেন তিনি। যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্রের মতে, ''ওই ভিডিওটি পুরনো বলে মনে হচ্ছে। এটি গরমকালে রেকর্ড করা হয়েছে। কারণ ওই ভিডিও-য় বরফ দেখা যায়নি।''
ফের ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনার অনুপ্রবেশের দাবি করে শোরগোল ফেলে দিলেন লাদাখের প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর Urgain Chodon। তবে নিজের দাবি সমর্থনে টুইটে পোস্ট করা তাঁর ওই ভিডিওটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, টুইটে পোস্ট করা ভিডিওটি পুরনো হতে পারে। যদিও এর পরেও নিজের দাবিতেই অনড় Urgain Chodon। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, ''আমি যা টুইট করেছি তাই হয়েছে।"
টুইটে ওই ভিডিওটির সঙ্গে Urgain Chodon লিখেছেন, ''২৮ জানুয়ারি পিএলএ সেনাবাহিনী আমাদের অঞ্চলে এসেছিল। আমাদের ভূখণ্ডেই আমাদের পশুদের চড়াতে বাধা দেয় ওরা। নিরাপত্তা বাহিনী কোনও পদক্ষেপ করেনি। আমাদের পশুপালক তাঁর জীবিকা অর্জনের জন্য অনির্ধারিত সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। সেনাবাহিনী ওঁকে আমাদেরই এলাকা থেকে ধরে এনে পুলিশ চৌকিতে পাঠায়।''
আরও পড়ুন- করোনা কালে প্রায় সাড়ে চার হাজার প্রবাসী ভারতীয়’র মৃত্যু, তথ্য পেশ সরকারের
এরই পাশাপাশি দ্বিতীয় আরও একটি ঘটনা তিনি তাঁর টুইটে উল্লেখ করেছেন। ২৬ জানুয়ারি চাংলুম এলাকায় ঘটনাটি ঘটে বলে দাবি তাঁর। তিনি বলেন, ''এক স্থানীয় যাযাবর তাঁর ১৭টি ইয়াক ফিরিয়ে আনতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করেছিলেন। ফেরার পথে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাঁকে ধরে। তাঁরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং থানায় নিয়ে যায়। ওই ব্যক্তিকে ফিরিয়ে আনতে আমি নিজে নয়োমা থানায় গিয়েছিলাম। আইবি-র অফিসাররা বলেছিলেন যে ওই ব্যক্তি আমাদের দেশেরই যাযাবর। তবুও সেনাবাহিনী সেকথা বিশ্বাস করেনি। তাঁকে থানায় রেখে গিয়েছে।'' তবে এই বিষয়টি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নিশ্চিত করলেও ইয়াক মেলার কোনও খবর মেলেনি।
শুক্রবার দ্বিতীয় টুইটে Urgain Chodon লিখেছেন, ''আমাদের সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবসময়ই কড়া অবস্থান নিয়েছে। আমি সরকারকে এই বিষয়টিকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছি।'' এই ধরনের সমস্যার সমাধানে সীমান্ত এলাকায় বেড়া দেওয়ার বন্দোবস্ত করা উচিত সরকারের, এমনই মনে করেন তিনি।
Read story in English