ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দ। অন্যদিকে, তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে নির্যাতিতাকেও। উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ। অভিযোগ, কংগ্রেসের। জেলবন্দি নির্যাতিতার পাশে দাঁড়াতে সোমবার শাহজাহানপুর থেকে লখনৌ পর্যন্ত 'ন্যায় যাত্রার' ডাক দেয় হাত শিবির। যাত্রার শুরুতেই অবশ্য তা আটকাল প্রশাসন। শীর্ষ কংগ্রেস নেতা যতীন প্রসাদ, কুশল মিশ্রদের আটক করা হয়। গ্রেফতার হাত শিবিরের ৮০ কর্মী।
পুলিশ সুপার দীনেশ ত্রিপাঠীর কথায়, 'দলীয় দফতরের সামনেই একটি সভার ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু তার আগে থেকেই সেখানে সভা করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এমনকি, এই সভার জন্য কোনও অনুমতি প্রশাসনের থেকে চাওয়া হয়নি। আইন ভঙ্গের অপরাধে তাই কংগ্রেসের ৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।'
আরও পড়ুন: লালুর সংসারে তুমুল অশান্তি, ক্ষুব্ধ ঐশ্বর্য রাই
সূত্রের খবর, আটকদের তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেস নেতা যতীন প্রসাদ, উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি কুশল মিশ্র ও রাজ্যে কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা অজয় কুমার লাল্লু, হাত শিবিরের রাজ্য নেতা ধীরাজ গুর্জর। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কুশল মিশ্রের কথায়, 'গৃহবন্দি করা হয়েছে যতীন প্রসাদকে।' পুলিশের এই পদক্ষেপ নিয়ে সরব কংগ্রেস। কুশল মিশ্র এদিন ট্যুইটে লেখেন, উত্তরপ্রদেশ কি কাশ্মীর? যেখানে প্রতিবাদ করে পদযাত্রা করা হলেই তা আটকে দেওয়া হবে। বাড়ির সামনে পুলিশ ঘুরে বেড়াবে। বন্দি করা হবে ব্য়ক্তি স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে এরফলে।
আরও পড়ুন: রূপনারায়ণে নৌকাডুবি, নিখোঁজ বেশ কয়েকজন যাত্রী
কংগ্রেসের অভিযোগ, ধর্ষণে অভিযুক্ত চিন্ময়ানন্দকে বাঁচাতে যোগী সরকার যতদূর সম্ভব চেষ্টা করছে। কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের সহকারি প্রধান আরাধনা মিশ্রের দাবি, 'এই মামলার বিচার ফার্স্ট ট্র্যাক আদালতে হওয়া উচিত। বিজেপি সরকাররে এই পদক্ষেপের প্রতিবাদে দল সড়ক থেকে বিধানসভা পর্যন্ত আন্দোলন করবে।'
আইনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আপাতত হেফাজতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বামী চিন্ময়ানন্দ। নির্যাতিতার অভিযোগ, 'ব্ল্যাক মেইল' করে একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণ করেছেন ওই বিজেপি নেতা। এই মামলার বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যদের হাতে চিন্ময়ানন্দ সংক্রান্ত অন্তত ৪৩টি ভিডিয়ো ক্লিপস তুলে দেন ওই ছাত্রী। পরে অবশ্য তোলাবাজির অভিযোগে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা ওই নির্যাতিতাকে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধী পক্ষ।
Read the full story in English