Advertisment

আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে বরখাস্ত চন্দা কোচর

এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন এমডি ও সিইও চন্দা কোচরকে আটক করেছিল সিবিআই। ভিডিওকন ঋণকাণ্ডে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Chanda Kochhar sacked

এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন এমডি এবং সিইও চন্দা কোচরকে আটক করেছিল সিবিআই।

চন্দা কোচরকে বরখাস্ত করল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। তাদের দাবি, ভিডিওকন জালিয়াতি মামলায় ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও চন্দা কোড অফ কন্ডাক্ট ভঙ্গ করেছেন। একটি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে আইসিআইসিআই কর্তৃপক্ষ।

Advertisment

এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন এমডি এবং সিইও চন্দা কোচরকে আটক করেছিল সিবিআই। ভিডিওকন ঋণ কাণ্ডে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। ১০ মাস পর বৃহস্পতিবার নিউপাওয়ার রিনিউএবেল প্রাইভেট লিমিটেড (এনআরপিএল)-এর মালিক তথা প্রাক্তন আইসিআইসিআই চেয়ারম্যান চন্দা কোচরের স্বামী দীপক কোচর এবং ভিডিওকন গোষ্ঠীর ভেনুগোপাল ধুতের মধ্যে অবৈধ আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগ নথিভুক্ত করছে সিবিআই।

প্রসঙ্গত, ৪ অক্টোবর, ২০১৮-তে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত খবরের জেরে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের সিইও এবং এমডি-র পদ থেকে সরে দাঁড়ান চন্দা কোচর।

আরও পড়ুন- রাহাত ফতে আলি খানকে শোকজ নোটিস ইডি-র!

গত বছর অক্টোবরে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাত সংক্রান্ত বিষয়ে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং তৎকালীন এমডি চন্দা কোচরকে কোনোরকম ক্লিন চিট দেওয়া হয়নি।

সিবিআই জানিয়েছে এক কেন্দ্রীয় সরকারি আমলা-সহ সুপ্রিম এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেড, ভিডিওকন ইন্টারন্যাশনাল ইলেকট্রনিক লিমিটেড সংস্থা জড়িয়ে রয়েছে এই দুর্নীতিতে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে যে অসৎ পদ্ধতিতে চন্দা তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে বিপুল অংকের ঋণ অনুমোদন করেছে স্বামীর সংস্থাকে, তা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের আওতায় পড়ে। ভারতীয় দণ্ডবিধির দুর্নীতি দমন আইনের আওতায় এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।

অন্যদিকে, এক সপ্তাহের মধ্যেই চন্দা কোচর, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং ভিডিওকন ঋণ কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করার কথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বি এন শ্রীকৃষ্ণর নেতৃত্বে গঠিত প্যানেলের। বিচারপতি শ্রীকৃষ্ণ বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, “আমার রিপোর্টের সঙ্গে সিবিআই তদন্তের কোনো সম্পর্ক নেই। জানুয়ারির শেষে আমার রিপোর্ট পেশ করা হবে। তবে সিবিআই কী পদক্ষেপ করবে, তার ওপর আমাদের রিপোর্ট নির্ভরশীল নয়”।

সিবিআই-এর দায়ের করা এফআইআর-এ বলা হয়েছে, ২০০৯-এর জুন থেকে ২০১২-এর অক্টোবর পর্যন্ত ভিডিওকন গোষ্ঠীর পাঁচটি সংস্থাকে যে ঋণ দেওয়া হয়েছে, তা ভারতীয় ব্যাঙ্ক ঋণ নীতি বহির্ভূত।

Read the full story in English

ICICI Bank
Advertisment