Advertisment

প্রহর গুনছে দেশ, সোমবারই লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল

রাজ্যসভায় এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। যদিও এবার উচ্চকক্ষে বিল পাস করাতে মরিয়া বিজেপি। এক্ষেত্রে ফ্লোর ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর দিয়েছেন মোদী-শাহরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সোমবারই লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ।

আগামিকালই লোকসভায় পেশ হতে পারে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯। প্রস্তাবিত বিলটি গত বুধবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে। লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বিজেপি। ফলে ওই দিনই বিলটি পাস হয়ে যেতে পারে সংসদের নিম্নকক্ষে। ক্যাবের বিরোধিতা করবে কংগ্রেস। দলীয় সাংসদদের সভায় উপস্থিতি বাধ্যতামূলক বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। একই হুইপ জারি করেছে কংগ্রেস।

Advertisment

২০১৬ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের থেকে সামান্য বদল রয়েছে ২০১৯-এর প্রস্তাবিত বিলে। নতুন বিলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে এদেশে আসা সেদেশের সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব মেলার নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। অন্যভাবে বললে, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী অবৈধ অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরকিত্ব দেবার জন্যই এই বিল।

আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে অনুমোদন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের

২০১৬ সালে সরকার ১৯৪৬ ও ১৯২০ সালের আইনানুসারে অবৈধ অভিবাসীদের ক্ষেত্রে কিছু গোষ্ঠীকে ছাড় দিয়েছে। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ও তার আগে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি এবং খ্রীষ্টানদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, অবৈধ অভিবাসীদের ওই ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির সদস্যরা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে বাস করলেও তাঁদের জেলে বা নিজেদের দেশে পাঠানো হবে না। ২০১৬ সালের নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল সংসদে আনা হয়েছে যাতে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব বিল সংশোধন করে এই ব্যক্তিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া যায়। আগে বলা হয়েছিল এই সব প্রতিবেশী দেশ থেকে এসে ১১ বছরভারতে থাকলে তবেই সে বৈধভাবে নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন। ২০১৯-এর প্রস্তাবিত বিলে সেই সময়সীমা কমিয়ে ৫ বছর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাস্তায় দাঁড়িয়ে এনআরসি সমর্থন করব, সকলকে নাগরিকত্ব দিন: মমতা

ক্যাব ও এনআরসির বিরোধিতায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে। তাদের দাবি ছিল এই আইনের দরুন সেখান পাল্টে যাতে পারে জনবিন্যাসের ধরন, কাজের সুযোগ কমবে, এবং নিজস্ব সংস্কৃতির ক্ষয় হবে। সম্প্রতি উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক্ষেত্রেও বিলে বদল আনা হয়েছে। ফলে, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ ও নাগাল্যান্ডের বিস্তীর্ণ অংশে আপাতত এনআরসি হবে না। আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় ষষ্ঠ তপশিলের অন্তর্ভূক্ত স্বশাসিত এলাকাগুলিতে এনআরসি লাগু করা হবে না। তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে মণিপুরের নাম।

আরও পড়ুন: অরুণাচল, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের ইনার লাইন পারমিট ভুক্ত এলাকায় লাগু হবে না ক্যাব

আসামে এর আগে এনআরসি লাগু হয়েছে। নাগিকত্ব থেকে নাম বাদ পড়েছে প্রায় ১৯ লক্ষের। এদের মধ্যে বেশিরভাগই হিন্দু বাঙালি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশ্বাস, নাগরিকত্ব বিলের পর এনআরসি লাগু হবে। ভয়ের কারণ নেই। বৈধ দেশবাসীরা নাগরিকত্ব থেকে বাদ পড়বেন না। দেশজুড়েই লাগু হবে এনআরসি।

আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ত্রিপুরা বনধ

রাজ্যসভায় এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। যদিও এবার রাজ্যসভায় বিল পাশ করাতে মরিয়া বিজেপি। এক্ষেত্রে ফ্লোর ম্যানেজমেন্টের দিকে নজর দিয়েছেন মোদী-শাহরা। তারা মনে করছেন বেশ কিছু দল সভায় উপস্থিত না থেকে পদ্ম শিবিরের সুবিধা করে দিতে পারে। কংগ্রেস এনআরসির বিরোধিতা করবে। বিজেপি বিরোধীতায় তৃণমূলের অন্যতম অন্যতম ইস্যু এনআরসি। ফলে জোড়াফুল সাংসদরা সভায় থেকেই প্রস্তাবিত বিলের বিরোধিতা করবে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেন, ''বিলে বদল করে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মধ্যে অনেক 'কিন্তু' রয়েছে। তাই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় এনআরসি করতে দেওয়া হবে না। অন্যসব রাজ্যগুলোকেও এনআরসির বিরোধিতা করতে বলা হয়েছে।''

Read the full story in English

CONGRESS bjp tmc Citizenship Bill Parliament
Advertisment