নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আঁচ বুঝে শনিবার স্থগিত করা হল জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার সমস্ত পরীক্ষা। গতকাল 'বিশ্ববিদ্যালয় লকডাউন' এবং শিক্ষার্থীদের ক্লাস বয়কটের পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, "জামিয়ার সমস্ত সেমেস্টার পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।" ১৬ ডিসেম্বর থেকেই ৫ জানুয়ারি, ২০২০ পর্যন্ত শীতকালীন ছুটির কথাও ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নাগরিকত্ব আইন বলবৎ হওয়ার পরেই দিল্লির এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। পরবর্তীতে পুলিশ তাঁদেরকে আটকাতে গেলে প্রতিবাদের আগুন ছড়ায় গোটা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। আন্দোলনকারীদের একাংশ পুলিশকে পাথর ছুঁড়ে মারে। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্য ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। তবে নেভানো যায়নি প্রতিবাদের আগুন। সন্ধ্যা ৭টার পর ফের ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে ক্যাম্পাসের বাইরের মূল সড়কের বিভিন্ন স্থানে স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।
তবে শিক্ষার্থীদের দাবি সেই সময় পরীক্ষা চলছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। পুলিশের ছোঁড়া টিয়ার গ্যাসের সেল এসে পড়ে ক্লাসরুমে। সেই সময় উপস্থিত এক বি.টেক ছাত্র সইফ উল্লাহ খান বলেন, "আমরা রীতিমতো কেঁদে ফেলেছি সেই সময়। পাশাপাশি বাইরে এতো জোর আওয়াজ হচ্ছিল যে আমরা পরীক্ষায় মনোনিবেশই করতে পারছিলাম না।" এমনকী এই ঘটনায় বহু শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌখিক পরীক্ষা। সে কারণে মৌখিক পরীক্ষাও স্থগিত রাখা হয়।