আইন নিপীড়নের হাতিয়ার হওয়া উচিত নয়। বরং, বিচার পাওয়ার হাতিয়ার হওয়া উচিত। সেটা সব আইন প্রয়োগকারীদেরই দেখা উচিত। শনিবার এমনটা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, 'নাগরিকদের প্রত্যাশা থাকতেই পারে। কিন্তু, আমাদেরও সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠান কতটা কী করতে পারে, সেটা বুঝতে হবে।'
প্রধান বিচারপতি বলেন, 'অনেক সময়ই দেখা যায় যে বিচারব্যবস্থা ও আইন একই পথে হাঁটছে না। আমরা জানি যে উপনিবেশের জমানায় এই একই আইন, যা বর্তমানে সংবিধানে রয়েছে, তা কীভাবে নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।' এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, 'তাহলে আমরা কীভাবে নিশ্চিত করব যে আইন যাতে নিপীড়নের হাতিয়ার হয়ে না-ওঠে?' সেই পথও বাতলে দেন প্রধান বিচারপতি নিজেই।
তিনি বলেন, 'সেই উপায় হল, আমরা কীভাবে আইনের ব্যবহার করি, সেটা। এটা শুধু বিচারপতিরাই নন। যাঁরা আইনের ব্যবহার করেন, তাঁদের সকলেরই দেখা উচিত যাতে প্রয়োগ হওয়া আইন নিপীড়ন হয়ে না-যায়। আইনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে যা টিকিয়ে রাখে, তা হল সহানুভূতি এবং নাগরিকদের কান্নার জবাব দেওয়ার ক্ষমতা।'
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী সুনাকের জমানায় কোহিনুরের পর এবার উঠল শিবাজির তরোয়াল ফেরানোর দাবি
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, 'যখন আপনার ব্যবস্থাপনার অশ্রুত কণ্ঠস্বর শোনার ক্ষমতা থাকে, অদেখা মুখকে ব্যবস্থাপনার সাহায্যে দেখার ক্ষমতা থাকে, তখন আইন আর বিচারের মধ্যে আপনি ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবেন। বিচারপতি হিসেবে আপনি আপনার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবেন।' বক্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ারও প্রশংসা করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়া এক বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। আদালত কক্ষে বলা ছোট ছোট কথাগুলোকেও সঠিক সময় উল্লেখ করে তুলে ধরছে। যাতে একজন বিচারককে ক্রমাগত মূল্যায়ন করা হচ্ছে।'
প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আদালতে বিচারক যে কথা বলেন, তার প্রতিটি শব্দের রিয়েল-টাইম রিপোর্টিং হচ্ছে। আপনারা যাঁরা আইনজীবী, তাঁরা সহকর্মীদের বলতে পারবেন যে আদালতে বিচারক যা বলেছেন অথবা তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটা তাঁর মনের প্রতিফলন নয়।'
Read full story in English