Advertisment

Supreme Court: কে হবেন দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি? মোদী সরকারের কাছে চিঠি লিখে নাম পাঠালেন সিজেআই চন্দ্রচূড়

Supreme Court: ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় আগামী ১০ নভেম্বর অবসর নিতে চলেছেন। তার আগে তিনি আইন মন্ত্রকের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন এবং নিজের উত্তরসূরির নাম মনোনীত করেছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Next cji Supreme Court,

কে হবেন দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি?

Chief Justice of India: কে হবেন দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি? মোদী সরকারের কাছে চিঠি লিখে নাম মনোনীত করলেন সিজেআই চন্দ্রচূড়।

Advertisment

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় আগামী ১০ নভেম্বর অবসর নিতে চলেছেন। তার আগে তিনি আইন মন্ত্রকের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন এবং সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় সবচেয়ে সিনিয়র বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত করেছেন। নভেম্বর অবসর নেওয়ার আগে ঐতিহ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকার গত সপ্তাহে  চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখে তাঁর উত্তরসূরির নাম মনোনয়নের অনুরোধ জানিয়েছিলেন।  

কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠির উত্তর হিসাবে CJI সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয় সিনিয়র বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে দেশের প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি হিসাবে আগামী ১০নভেম্বর অবসর নিচ্ছেন চন্দ্রচূড়। ১১ নভেম্বর থেকে প্রধান বিচারপতি হবেন বিচারপতি খান্না। তার মেয়াদ হবে প্রায় ৬ মাস। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না পরের বছর ১৩ মে ২০২৫-এ অবসর নেবেন।

স্বাস্থ্যে আগুনে বিদ্রোহের আবহেই শিক্ষায় বিরাট পদক্ষেপ রাজ্যের! কাল থেকেই শুরু প্রক্রিয়া

কেন্দ্রীয় সরকার সুপারিশ পাঠাতে বলেছিল

এর আগে, গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার CJI কে একটি চিঠি লিখেছিল যাতে তাকে মেমোরেন্ডাম অফ প্রসিডিউর অনুযায়ী তাঁকে তাঁর উত্তরসূরীর নাম সুপারিশ করতে বলা হয়।  বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ১৪ মে ১৯৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে দিল্লি বার কাউন্সিলের একজন মেম্বার হিসাবে তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি প্রাথমিকভাবে তিস হাজারী কমপ্লেক্সের অবস্থিত জেলা আদালতে অনুশীলন করেন এবং পরে দিল্লি হাইকোর্ট এবং ট্রাইব্যুনালে প্র্যাকটিস শুরু করেন।  আয়কর দপ্তরের সিনিয়র স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন। ২০০৪ সালে তিনি দিল্লির স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল (সিভিল) হিসেবে নিযুক্ত হন।

বিচারপতি খান্না ২০০৫ সালে দিল্লি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ২০০৬ সালে ওই হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালে ১৮ জানুয়ারি তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। বিচারপতি খান্না বর্তমানে ন্যাশনাল লিগাল সার্ভিসেস অথরিটির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান এবং ভোপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির গর্ভনিং কাউন্সিলের সদস্য। ২০২৩ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের লিগ্যাল সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।

ফের ভোট বাংলায়! আরজি কর ঝাঁঝে পুড়বে তৃণমূল? নাকি ঘুরে দাঁড়াবে বাম?

কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনের পর, বিচারপতি খান্না ভারতের ৫১ তম প্রধান বিচারপতি পদে তাঁর দায়িত্ব সামলাবেন। বিচারপতি খান্নার মেয়াদ হবে ৬ মাস। তিনি ১৩ মে ২০২৫ এ অবসর নেবেন। বিচারপতি খান্না অনেক গুরুত্বপূর্ণ  সিদ্ধান্তের অংশ ছিলেন। সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে সবুজ সংকেত দেওয়া বেঞ্চের অংশ ছিলেন বিচারপতি খান্না। বিচারপতি খান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ দিল্লির আবগারি নীতি সংক্রান্ত ED মামলায় দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছিল।বিচারপতি খান্না সেই ডিভিশন বেঞ্চের অংশ ছিলেন, যে বেঞ্চ সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্তকে বহাল রেখেছে। তিনি সেই বেঞ্চেরও অংশ ছিলেন যে বেঞ্চ ২০১৮ সালের নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পটি অবৈধ বলে ঘোষণা করে। 

CJI supreme court
Advertisment