Bypolls of six seats in West Bengal : আরজি কর আবহে ৬ বিধানসভা আসনে রাজ্যে উপনির্বাচন। তার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে ৪ টি ও উত্তরবঙ্গে ২টি কেন্দ্র রয়েছে। এই ৬ কেন্দ্রের বিধায়করা সকলেই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। আরজি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও আন্দোলন জারি রয়েছে। মঙ্গলবার দুর্গাপুজোর কার্নিভালের দিন পাল্টা কর্মসূচি হয়েছে কলকাতায়। আবার ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন জারি রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচনে কোনওরকম প্রভাব পড়ে কিনা সেদিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।
নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালডাংরা, মাদারিহাট ও সিতাই। এই ছয় বিধানসভা কেন্দ্রে ১৩ নভেম্বর উপনির্বাচন। এর মধ্যে নেহাটি ও মেদিনীপুর শহরাঞ্চল, বাকি গ্রামীণ এলাকা। আরজি কর ইস্যুতে ময়দানে নেমেছে বিজেপি ও বামফ্রন্ট। মঙ্গলবার দ্রোহের কার্নিভালে কার্যত সিপিএমের লোকজন হাজির ছিল বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও আয়োজকদের দাবি, সাধারণ মানুষ জমায়েত করেছিল দ্রোহের কার্নিভালে। তবে আরজি কর ইস্যু দলীয় বা অন্য প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়েছে বামপন্থী নেতা ও কর্মীরা। শহরে বা গ্রামাঞ্চলের মানুষজনও আরজি করের ঘটনায় উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলে গলা ফাটিয়েছে। এমনকী তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে রাত জাগা কর্মসূচি সহ অন্য প্রতিবাদ আন্দোলনকে জনজাগরণ বলে উল্লেখ করেছেন।
অন্যদিকে বিজেপিও আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছে। মঙ্গলবারও কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিল করেছে বিজেপি। আপাতত রাজ্য সরগরম। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অপরাধীর ফাঁসির দাবিতে রাজ্যজুড়ে মিছিল করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা। এই ৬ আসনের উপনির্বাচনে আরজি করের ঘটনার কোনও প্রভাব পড়বে কিনা সেটাই দেখার।
দিওয়ালির আগে বিরাট সুখবর, সরকারি কর্মীদের ৩ শতাংশ DAবৃদ্ধির ঘোষণা
গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তারপর আদালতের নির্দেশে তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। এখনও পর্যন্ত মূল ঘটনায় আর কেউ গ্রেফতার হয়নি। মূল অভিযুক্ত করে সঞ্জয় রাইয়ের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই। তবে ওই ঘটনায় আর কারও যোগ আছে কিনা তদন্ত করে দেখছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, সাধারণত উপনির্বাচনে শাসকদলের অ্যাডভান্টেজ লক্ষ্য করা যায়। এবার তার কোনও ব্যতিক্রম ঘটবে কি? ৬ আসনের একমাত্র মাদারিহাট কেন্দ্রটি ছিল বিজেপির দখলে। বাকি ৫ আসন ছিল তৃণমূলের দখলে। ভোটপ্রাপ্তির হার কি বাড়বে বিরোধীদের? এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না যে কেন্দ্রে বিরোধী প্রার্থী শক্তিশালী তাঁর বটমে ছাপ দিয়ে দিল বিরোধী সমর্থকরা।
'লক্ষ্মীপুজোর দিন ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ! জোড়া হত্যাকাণ্ডে মমতার পদত্যাগের দাবিতে সরব সুকান্ত
তবে শুধু শহর নয়, গ্রামীণ এলাকায়ও আরজি করের ঘটনায় মানুষ প্রতিবাদ সংগঠিত করেছে। টিভি সিরিয়াল দেখা কমিয়ে আরজি করের লাইভ খবর দেখেছেন গ্রামীণ এলাকার লোকজন। এমন মন্তব্য শোনা গিয়েছে প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে। অভয়ার বিচার চায় গ্রামবাংলা। এখন দেখার বিষয় বিজেপি না সিপিএম কার ভোট শতাংশ বৃদ্ধি পায়। নাকি বিরোধী ভোট ভাগাভাগি না করে তৃণমূল বিরোধী শক্তিশালী প্রার্থীর ঝুলিতে ভোট পড়ে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস ঘোষণা করে দিয়েছে ৬ আসনেই তারা বাজিমাত করবে। এই উপনির্বাচন কোনও চ্যালেঞ্জ না তাদের কাছে।