এবার মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র ভর্ৎসনার মুখে তাঁরই দলের বিধায়ক। 'খবরদার, এটা কখনও করবে না।' বৃহস্পতিবার হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীকে এভাবেই ধমক মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের। এলাকায় জল জমে থাকার প্রতিবাদ দেখাতে গিয়ে রাস্তায় বসে পড়েছিলেন উত্তর হাওড়ার এই বিধায়ক। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় খোদ তৃণমূল বিধায়কের দল পরিচালিত পুরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধাচরণ রীতিমতো ভাইরাল হয়। সেই ঘটনার উল্লেখ করে এদিন এই বিধায়ককে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুজোর মরশুম মিটতেই জেলায়-জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ হাওড়া জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে নিজেদের এলাকার একাধিক সমস্যা-অভাবের কথা তাঁকে জানান বিধায়করা। সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যাবে সেব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শও তাঁদের দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এভাবেই এরপর বলার পালা আসে উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর। এই গৌতম চৌধুরীই মাসখানেক আগে তাঁর বিধানসভা এলাকায় জল জমে যাওয়ার কারণে প্রতিবাদ দেখিয়েছিলেন। হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীকে কাঠগড়ায় তুলে রাস্তায় চেয়ার নিয়ে বসে পড়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, উল্টোডাঙা উড়ালপুলের কলকাতামুখী লেন বন্ধ
এদিন গৌতম চৌধুরী বলতে শুরু করলেই তাঁকে থামিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়কের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'তুমিই গৌতম চৌধুরী? রাস্তায় বসে পড়েছিলে কেন?' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রশ্ন শুনে হতচকিত গৌতমবাবু জানান, রাস্তায় জল জমে যাওয়ার কারণেই তিনি বসে পড়েছিলেন। তাঁর এই উত্তরে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'রাস্তায় জল জমে গিয়েছিল বলে বসে পড়বে? প্রকৃতি কি আমাদের হাতে রয়েছে? এবার যা বৃষ্টি হয়েছে গত ৮০ বছরেও হয়নি। সাহায্য করার বদলে রাস্তায় বসে পড়লে? তৃণমূলের একটা কালচার আছে। খবরদার, এগুলো করবে না।'
ফি বর্ষায় হাওড়ার বিস্তীর্ণ প্রান্ত জলমগ্ন হয়ে পড়ে। একটানা বেশ কিছুদিন একাধিক এলাকায় জল জমে থাকে। তবে সেই সমস্যা দূর করতে সরকার কাজ শুরু করে দিয়েছে বলে এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, হাওড়ার জল নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নে তিনটি পর্যায়ে কাজ চলছে। প্রথম পর্যায়ের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন