নূপুর শর্মার পর এবার মহুয়া মৈত্র। দুই দলের দুই নেত্রীর মন্তব্যের পর রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে উঠবে, এটাই স্বাভাবিক। নূপুর শর্মাকে বিজেপি সাসপেন্ড করেছে। বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কৃষ্ণনগরের সাংসদের বক্তব্যের নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি মহুয়ার বিরুদ্ধে একাধিক থানায় এফআইআর হয়েছে।
নূপুর শর্মার মন্তব্যের পর এই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত হয়েছে। স্তব্ধ হয়েছে স্থানীয়স্তরে জনজীবন। পুড়েছে দোকান। এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন, দুই যুযুধান নেত্রীর ধর্মীয় মন্তব্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়াচ্ছে। কাদের ফায়দা হচ্ছে?
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজনীতিতে ধর্মীয় মেরুকরণ এখন সামনা-সামনি, একেবারে স্পষ্ট। সেক্ষেত্রে যাঁরা মেরুকরণের রাজনীতি করে, তাঁদের ক্ষেত্রে এমন মন্তব্য যথেষ্ট ফায়দার বলেই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।
নূপুর শর্মার মন্তব্যের পর রে-রে করে বিরোধিতা করতে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার মহুয়ার মন্তব্যের পর রাস্তায় নেমে, থানায় বিক্ষোভ, এফআইআর করেছে বিজেপি। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা শশী থারুর আবার তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী কোনওরকমে মন্তব্য পেশ করেছেন মহুয়া ইস্যুতে।
আরও পড়ুন- ‘আমি কালীর উপাসক, কাউকে ভয় পাই না’, বিজেপিকে পাল্টা মহুয়ার
বিধানসভা নির্বাচনের পর সাংগঠনিক ভাবে রাজ্যে বিজেপি কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আনাগোনা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রায় একবছর পর এরাজ্যে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দলকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে দলে আদি ও নব্যদের ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়। রাজনৈতিক মহলের মতে, নূপুর শর্মার মন্তব্যের জেরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল গেরুয়া শিবির। দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, আগুনের প্রতিবাদে একজোট হয়েছিল। এবার তৃণমূল সাংসদের মন্তব্য নতুন করে চাঙ্গা করল গেরুয়া শিবিরকে। শুধু চাঙ্গাই নয়। মহুয়া ইস্যুতে পথে নেমেও পড়ল বিজেপি।
বুধবার সাধারণ মানুষের নিত্যব্যবহার্য রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে। একটি ডোমেস্টিক সিলিন্ডারের দাম ১,১০০ টাকা ছুঁইছুঁই। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে অস্বাভাবিক হারে। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে, দুর্নীতি নিয়ে, আদালতের নির্দেশে চাকরি চলে গিয়েছে মন্ত্রীকন্যা-সহ প্রায় শ'তিনেক প্রাথমিক শিক্ষকের। আরও নামের তালিকা নিয়ে মামলা চলছে। এসএসসি নিয়ে একাধিক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।
অভিজ্ঞ মহল মনে করছে, এমন একাধিক জ্বলন্ত ইস্যু রয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগেও স্কুল খোলার দাবি, আমতার আনিসের মৃত্যু-সহ নানা ইস্যুতে ময়দানে নেমে পড়েছিল সিপিএমের ছাত্র-যুবরা। জোরদার আন্দোলন করেছিল। তৃণমূল-বিজেপির আঁতাঁত নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছে বামেরা। এবার দুই নেত্রীর মন্তব্যের পর লড়াই যেন সেই বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ল। মেরুকরণের রাজনীতিতে এটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।
নূপুর-মহুয়াদের মন্তব্যে ক্ষোভের বিস্ফোরণ, বিতর্কে ফায়দা কাদের?
এবার মহুয়ার মন্তব্যের পর রাস্তায় নেমে, থানায় বিক্ষোভ, এফআইআর করেছে বিজেপি। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা শশী থারুর আবার তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন।
Follow Us
নূপুর শর্মার পর এবার মহুয়া মৈত্র। দুই দলের দুই নেত্রীর মন্তব্যের পর রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে উঠবে, এটাই স্বাভাবিক। নূপুর শর্মাকে বিজেপি সাসপেন্ড করেছে। বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কৃষ্ণনগরের সাংসদের বক্তব্যের নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি মহুয়ার বিরুদ্ধে একাধিক থানায় এফআইআর হয়েছে।
নূপুর শর্মার মন্তব্যের পর এই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত হয়েছে। স্তব্ধ হয়েছে স্থানীয়স্তরে জনজীবন। পুড়েছে দোকান। এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন, দুই যুযুধান নেত্রীর ধর্মীয় মন্তব্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়াচ্ছে। কাদের ফায়দা হচ্ছে?
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজনীতিতে ধর্মীয় মেরুকরণ এখন সামনা-সামনি, একেবারে স্পষ্ট। সেক্ষেত্রে যাঁরা মেরুকরণের রাজনীতি করে, তাঁদের ক্ষেত্রে এমন মন্তব্য যথেষ্ট ফায়দার বলেই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।
নূপুর শর্মার মন্তব্যের পর রে-রে করে বিরোধিতা করতে নেমেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার মহুয়ার মন্তব্যের পর রাস্তায় নেমে, থানায় বিক্ষোভ, এফআইআর করেছে বিজেপি। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা শশী থারুর আবার তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী কোনওরকমে মন্তব্য পেশ করেছেন মহুয়া ইস্যুতে।
আরও পড়ুন- ‘আমি কালীর উপাসক, কাউকে ভয় পাই না’, বিজেপিকে পাল্টা মহুয়ার
বিধানসভা নির্বাচনের পর সাংগঠনিক ভাবে রাজ্যে বিজেপি কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আনাগোনা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রায় একবছর পর এরাজ্যে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দলকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে দলে আদি ও নব্যদের ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়। রাজনৈতিক মহলের মতে, নূপুর শর্মার মন্তব্যের জেরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল গেরুয়া শিবির। দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, আগুনের প্রতিবাদে একজোট হয়েছিল। এবার তৃণমূল সাংসদের মন্তব্য নতুন করে চাঙ্গা করল গেরুয়া শিবিরকে। শুধু চাঙ্গাই নয়। মহুয়া ইস্যুতে পথে নেমেও পড়ল বিজেপি।
বুধবার সাধারণ মানুষের নিত্যব্যবহার্য রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে। একটি ডোমেস্টিক সিলিন্ডারের দাম ১,১০০ টাকা ছুঁইছুঁই। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে অস্বাভাবিক হারে। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে, দুর্নীতি নিয়ে, আদালতের নির্দেশে চাকরি চলে গিয়েছে মন্ত্রীকন্যা-সহ প্রায় শ'তিনেক প্রাথমিক শিক্ষকের। আরও নামের তালিকা নিয়ে মামলা চলছে। এসএসসি নিয়ে একাধিক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।
অভিজ্ঞ মহল মনে করছে, এমন একাধিক জ্বলন্ত ইস্যু রয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগেও স্কুল খোলার দাবি, আমতার আনিসের মৃত্যু-সহ নানা ইস্যুতে ময়দানে নেমে পড়েছিল সিপিএমের ছাত্র-যুবরা। জোরদার আন্দোলন করেছিল। তৃণমূল-বিজেপির আঁতাঁত নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছে বামেরা। এবার দুই নেত্রীর মন্তব্যের পর লড়াই যেন সেই বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ল। মেরুকরণের রাজনীতিতে এটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।