Communal tension in Karnataka: কর্ণাটকের মান্ড্যায় গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় মুসলিমদের পাথর ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তোলপাড়। তড়িঘড়ি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হয়েছে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে।
আরজি কর কাণ্ডে আগুনে প্রতিবাদ, কৌশলী তৃণমূল, ড্যামেজ কন্ট্রোলে 'মাস্টারপ্ল্যান'!
গনেশ পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রাকে ঘিরে ধুন্ধুমার। বুধবার কর্ণাটকের মান্ড্যায় তৈরি হয়েছে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। শোভাযাত্রা চলকালীন পাথর ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে মসজিদের পাশ দিয়ে শোভাযাত্রা যাওয়ার সময় শোভাযাত্রাকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে, বেশ কয়েকটি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা স্থানীয় থানার সামনে গণেশ মূর্তি রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এর মধ্যেই আশেপাশের বেশ কিছু দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগও সামনে এসেছে। ঘটনা প্রসঙ্গে জেলার পুলিশ পুলিশ সুপার বলেছেন ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।পলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। অশান্তি রুখতে জারি করা হয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, জামিন পেলেন মানিক ভট্টাচার্য
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সংক্রান্ত বেশ কিছু ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দু পক্ষকেই একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে দেখা যায়। গুজরাটের সুরাটে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পরে ফের কর্ণাটকে গনেশ বিসর্জনের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। সুরাটেও গণেশ পুজো প্যান্ডেলে পাথর নিক্ষেপের অভিযোগে ছয় নাবালককে গ্রেফতার করা হয়েছিল।কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী হিংসার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং এর জন্য ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকারকে দায়ী করেছেন। তিনি কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে ‘খুশি’ করার অভিযোগ করেছেন। কুমারস্বামী বলেছেন, কংগ্রেসের তুষ্টির রাজনীতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।