করোনা সংক্রমণ রোধে চতুর্থ পর্বের লকডাউন শেষের মুখে। কিন্তু, পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট যে, কোভিড সংক্রমণের লেখচিত্র অনুমানের থেকেও বেশি। গত ২৬ এপ্রিল ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই আনুমানিক করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টি বলা হয়েছিল। যার ভিত্তিতে ১৭ মে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। তবে, সংক্রমণের হার সেই অনুমানিক পরিসংখ্যানকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
বিগত কয়েকদিন ধরেই নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার উর্ধ্বমুখী। বৃহস্পতিবার দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৭,৪৬৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে প্রায় আট হাজার করোনা আক্রান্ত। মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১ লক্ষ, ৭৩ হাজার ৭৬৩ জন। গত মাসে রাজ্যগুলোকে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল যে, ৩১ মে পর্যন্ত দেশে প্রায় ১ লক্ষ ৬৫ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হবেন। কিন্তু, বাস্তবে তা টপকে গিয়েছে। বর্তমানে সংক্রমণ দ্বিগুণ হচ্ছে ১৪.৬৩ দিনে।
অনুমানিক হিসাবে বলা হয়েছিল যে, মে মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ৬৫ হাজার মানুষ করোনার কবলে পড়তে পারেন। যদিও বাস্তবে সেই হিসাব মেলেনি। ওই সময় পর্যন্ত ভারতে করোনা সংক্রমিত ছিলেন ৮১,৯৭০ জন। আনুমান করা হয়েছে, ৩১ মে ও ১৫ জুন পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে হবে যথাক্রমে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ১২২ জন এবং ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭২৭ জন।
আরও পড়ুন- LIVE: গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমিত প্রায় ৮ হাজার
সংক্রমণ বৃদ্ধির দ্বিগুণ যখন ১০ দিনে হচ্ছে তখন আনুমানিক পরিসংখ্যানের এই হিসাবে প্রকাশ করা হয়ছিল। বলা হয়, জুনের শেষ পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমিত হবেন ১১ লক্ষ ২২ হাজার ৮৩৯ জন। জুলাইয়ের ১৫ তারিখে তা বেড়ে হবে ৩১ লক্ষ ৮৫ হাজার, ৯৫২ জন। জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত সেই সংখ্যা পৌঁছাবে ৯৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৭১৫ জনে। ১৫ আগাস্ট ভারতে করোনা আক্রান্তের আনুমানিক সংখ্যা ২ কোটি ৭৪ লক্ষ, ৯৬ হাজার ৫১৩ জন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ, ৭৩ হাজার ৭৬৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৮২,৩৭০ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ৪,৯৭১ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭,৯৬৪ জন। যা এ যাবৎ সর্বাধিক। আগামিকালই শেষ হচ্ছে লকডাউনের চতুর্থ পর্ব। তার আগে সংক্রমণের এই বৃদ্ধি গতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রশাসনের।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন