দেশের কোভিড-গ্রাফে সামান্য সস্তি। গতকালের চেয়ে সামান্য কমল দৈনিক সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিন অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ১৪৩ জন। এর ফলে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ১ লক্ষ ১১ হাজার ৭১১। রোগমুক্তির সংখ্যা বেড়েছে ১৩,৯২৯। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ১০,১০,৬৫২ জনকে।
পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১,৮২২ জন। রাজ্যে বর্তমানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০,৫৮৩। তার মধ্যে হোম আইসোলেশনে আছেন ১০,২৭৯ জন। হাসপাতালে আছেন ৩০৪ জন। রাজ্যে একদিনে করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন ৫২৬ জন। রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। রাজ্যে একদিনে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৪০,৫৮৫ জনকে। রাজ্যে রবিবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১২,৯২১ জনের।
আরও পড়ুন- মানুষ তেলেঙ্গানায় ডবল-ইঞ্জিন সরকারের দিকে পা বাড়িয়েই আছে, কর্মিসভায় আহ্বান মোদীর
দেশে রবিবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি করোনা বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গে, তারপর তামিলনাড়ুতে ১,১৬১ জন। সবচেয়ে কম করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ডে ১ জন করে। একদিনে আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি কমেছে মহারাষ্ট্রে, ৫৪৯ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি ২৯৩ জন।
দেশে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেড়েছে কেরলে, ১৪ জন। এর পরে রয়েছে মহারাষ্ট্র, ৫ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ৩ জন। চতুর্থ স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব ও দিল্লি, ২ জন করে। এরপরে রয়েছে মিজোরাম, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটকের মত রাজ্য। এই রাজ্যগুলোয় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজন করে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই পরিস্থিতিতে বুস্টার ডোজ প্রাপকের সংখ্যা বাড়িয়ে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। একইসঙ্গে সংক্রমণ বৃদ্ধি রুখতে মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি মেনে চলার মত বিষয়গুলোকেও গুরুত্ব দিচ্ছে স্বাস্থ্য় মন্ত্রক। ইতিমধ্যে তার সুফল যে ফলছে, সেটা প্রমাণিত হয়েছে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসায়। এমনটাই মনে করছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা।