বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আতঙ্কের কারণ নেই বলে জানাল বৃহন্মুম্বই পুরনিগম। বম্বে হাইকোর্টে একটি নোট জমা দিয়ে শহরের করোনা পরিস্থিতি বিশদে বর্ণনা করেছেন পুরনিগমের আইনজীবী। শহরে যে এলাকাগুলি থেকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছিল সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা এখন কমছে বলে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।
মহারাষ্ট্রে করোনা চিকিত্সার অনুপযুক্ত ব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে আইনজীবী স্নেহা মারজাদি ও অন্য বেশ কয়েকজন জনস্বার্থ মামলা করেন। সেই মামলাগুলির শুনানিতে এবার বম্বে হাইকোর্টে মুম্বই শহরের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাখ্যা দিল বৃহন্মুম্বই পুরনিগম। পুরনিগমের তরফে সিনিয়র আইনজীবী অনিল সাখারে জানিয়েছেন, বৃহন্মুম্বই পুরনিগম মহামারীর তৃতীয় তরঙ্গ নিয়ন্ত্রণে দক্ষতার সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, মুম্বই শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেই তিনি জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট জানায়, করোনার অত্যন্ত সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়া রুখতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা, টিকাকরণ, হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত শয্যার বন্দোবস্ত, অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থাপনা, অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা সুদৃঢ় রাখা-সহ মানুষের স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও কিছুর সঙ্গেই আপোস করা চলবে না। এই বিষয়গুলি নিশ্চিত করতে বৃহন্মুম্বই পুরনিগমকে চেষ্টায় কোনও ফাঁক রাখা চলবে না। যথাযথভাবে এই বিষয়গুলি বাস্তবায়িত করতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন- ১০ দিনে দিল্লিতে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন মাত্র ১৫ শতাংশ, শিশু টিকাকরণ প্রায় ৬০%
মুম্বইয়ের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে এদিন আদালতে একটি নোট জমা দেন বিএমসি-র আইনজীবী সাখারে। সেই নোটে যাতে বলা হয়েছে, ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৮৪ হাজার ৩৫২ করেনা সক্রিয় রোগীদের মধ্যে মাত্র ৭ শতাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ৩ শতাংশ রোগী ছিলেন অক্সিজেন-যুক্ত বিছানায়।
আরও পড়ুন- একধাক্কায় প্রায় ৪৫ হাজার বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, ঊর্ধ্বমুখী অ্যক্টিভ কেস
মাত্র ১ শতাংশ রোগী ছিলেন আইসিইউতে। ভেন্টিলেটরে ছিলেন ০.৭ শতাংশ রোগী। তিনি আরও জানিয়ছেন, ৬-৯ জানুযারি পর্যন্ত, প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার নতুন সংক্রমিতের হদিশ মিলেছিল। কিন্তু তারপর থেকে ধীরে ধীরে করোনার সংক্রমণ কমেছে। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজারে নেমে এসেছে।
Read full story in English