/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/07/corona-lead-1.jpg)
করোনা ভাইরাস বায়ুবাহিত সম্প্রতি এই তথ্য নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (হু)-কে তাঁদের সুপারিশ পুনর্বিবেচনা করার কথা জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা। কয়েকশ’রও বেশি বিজ্ঞানীরা জানান যে তাঁদের সকলের কাছেই প্রমাণ আছে যে এই নোভেল করোনাভাইরাস কেবলমাত্র বায়ুবাহিতই। প্রাথমিকভাবে না মানলেও এবার হু-এর তরফে জানান হয়, করোনা বায়ুবাহিত এ তথ্য এখনই বাতিল করা হচ্ছে না।
এদিকে, করোনার উৎপত্তিস্থল কি চিনই? এবার সেই উত্তরের তদন্ত করতেই চিন- যাচ্ছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ দল। চিনের রাজধানী বেজিংয়ে দু'দিন থাকবেন তাঁরা। করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি এবং সংক্রমণের বিষয়ে তদন্ত করতেই এই সফর হু-বিশেষজ্ঞদের।
অন্যদিকে, দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বাড়ছে করোনা পরীক্ষাও। কিন্তু করোনা কিট ঘিরে তৈরি হয়েছে সমস্যা। দেশে আরটি-পিসিআর কিট মাত্র ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ সাপ্লাই দিতে পারছেন দেশীয় সংস্থাগুলি। কিট প্রস্তুত করতে প্রয়োজনীয় উপাদান এবং সামগ্রী আনতে হয় বিদেশ থেকে। কিন্তু আমদানি শুল্ক বসায় সেখানে তৈরি হচ্ছে সমস্যা। অন্যদিকে রফতানি বন্ধ হওয়ার বাইরে ব্যবসার ক্ষেত্রেও জট তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার একদিনে দেশে আক্রান্ত হয়েছে ২৫ হাজার জন। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আট লক্ষ ছুয়েছে দেশের মোট আক্রান্ত সংখ্যা। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে প্রায় পাঁচ লক্ষের কাছাকাছি। মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৬০৪ জনের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা-লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
মার্চের পর এই প্রথম যখন দেশে রেকর্ড হারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এই আবহে ভ্যাকসিন তৈরির কাজ যেমন জোর কদমে চলছে, তেমনই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবার আয়ুর্বেদিক ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করবে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক এবং বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যেই ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তাঁরা, এমনটাই জানিয়েছেন আমেরিকায় অবস্থিত ভারতের রাষ্ট্রদূত
বৃহস্পতিবার নভেল করোনাভাইরাসের চরিত্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়, "এই রোগ বায়ুবাহিতও হতে পারে। নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে খুব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এয়ারোসলে থাকছে। অভ্যন্তর স্থানে জনবহুল জায়গাতেও এই এয়ারোসলের স্থানান্তর দেখা যাচ্ছে। রেস্তোরাঁ, ফিটনেস ক্লাসে এই বায়ুবাহিত কয়েকটি ঘটনা দেখ গিয়েছে।" বায়ুবাহিত রোগ তাকেই বলে যখন সংক্রামকের নিউক্লিয়াস বাতাসের অণুর সঙ্গে মিশে যায় এবং বহু সময় ধরে বাতাসে ভেসে থাকে এবং অনেক দূরত্ব অতিক্রম করেও সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
গলাব্যথা বা জ্বর কিছুই নেই। হাতেপায়ে ব্যাথাও অনুভূত হচ্ছে না। শ্বাসকষ্টও নেই৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও রোগী করোনা পজিটিভ। দেশজুড়ে ক্রমশই বাড়ছে এই ধরনের উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, উপসর্গহীন বা অত্যন্ত কম উপসর্গযুক্ত এই কোভিড-১৯ পজিটিভদের বাড়িতে হোম আইসোলেশনে রেখেই চিকিৎসা করাতে হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই কর্নাটক রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, উপসর্গ না থাকা রোগীদের সঙ্গে থাকতে হবে সার্বক্ষণিক অ্যাটেন্ডেন্ট। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে হাসপাতালের। এই রাজ্যে যাঁরা উপসর্গহীন,কিন্তু করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে আছেন, তাঁদের কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত বলে মত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের? বিস্তারিত পড়ুন এই প্রতিবেদনে, উপসর্গ নেই, অথচ টেস্ট করলে পজিটিভ, এমন করোনা রোগীরা কী করবেন?
যে কোনও রোগের প্রকোপ মোকাবিলায় বিশ্বাসযোগ্য তথ্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং তা কোনও ভাবেই এই অতিমারীর ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয় – বলছেন নয়া দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিট্যুট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের কার্ডিওলজির প্রফেসর গণেশ কার্তিকেয়ন।তবে বাজারে যে পরিমাণ ও যত ধরনের তথ্য রয়েছে তা থেকে কোনটা সত্যি আর কোনটা অতিকথন তা বিচার করা শক্ত হয়ে পড়েছে।কার্তিকেয়ন লিখছেন “এর ফল হচ্ছে বিচারে ভুল, আস্থায় হলদ এবং অগ্রাধিকারে বিকার। কয়েক সপ্তাহ আগে কেবলমাত্র জল্পনার ভিত্তিতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যাপক বিক্রি এর অন্যতম উদাহরণ।” সবিস্তারে পড়ুন এই প্রতিবেদনে, কোভিড চিকিৎসায় রেমডেসিভিরের তুলনায় ডেক্সোমেথোসোনে নজর দেওয়া কেন জরুরি?
বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস ছিল বাদুড়ের থেকেই এসেছে এই করোনা ভাইরাস। পরবর্তীতে প্যানগোলিন কিংবা সিভেট ক্যাট প্রজাতির মাধ্যমে চিনের উহান প্রদেশের বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছর সেখান থেকেই মানুষের মধ্যে প্রবেশ করে করোনাভাইরাস। যদিও এখন এই বাজার রেখেছে চিন, কিন্তু উৎপত্তিস্থল নিয়ে ধোঁয়াশা জারি রেখেছে তাঁরা এমনটাই মত বিশ্বের একাধিক দেশের। সেই আবহেই এবার করোনা তদন্ত করতে চিনে ছুটছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা। কয়েক মাস আগেই চিনের হয়ে কথা বলার জন্য হু-কে সমস্ত অর্থ সাহায্য দেওয়া বন্ধ করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে আমেরিকা, ব্রাজিল এবং ভারতে ক্রমশ বাড়ছে করোনা ভাইরাস। সম্প্রতি সংবাদসংস্থা জানিয়েছিল যে তাঁদের হাতে যে রেকর্ড এসেছে তাতে চিনের উপর ক্ষুদ্ধ হু-ও। ঘটনার স্বচ্ছতা নিয়ে বিরক্ত কর্তৃপক্ষও।
মার্চের পর এই প্রথম বাংলা জুড়ে নয়া মাত্রায় দাপট দেখাতে শুরু করেছে করোনা। এর মধ্যেই করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে এ রাজ্যে বেশ কিছু ‘ঘাটতি’ রয়েছে বলে আশঙ্কার কথা জানালেন বিশেষজ্ঞরা। যে হারে বাড়ছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ, সে ক্ষেত্রে অবিলম্বে ভ্রম সংশোধন করতে হবে, এমনই পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের দল। আর এরপরই তড়িঘড়ি রাজ্যের সব হাসপাতালগুলিতে নয়া নির্দেশিকা পাঠিয়েছে মমতা সরকার।
নয়া নির্দেশিকায় করোনা রোগীদের অক্সিজেন প্রয়োজনীয়তা পর্যবেক্ষণ, অ্যান্টি কোয়াগুলেন্ট ব্যবহার করে আইসিইউ-তে ভর্তি রোগীদের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া, সরকারের প্রস্তাবিত ওষুধের বাইরে বাকি ওষুধ ব্যবহার নিষিদ্ধ করার মতো বিষয়গুলি বিশেষভাবে উল্লিখিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, যে হারে রোগীর সংখ্যা রাজ্যে বাড়ছে সেটা দেশের অন্য কয়েকটি রাজ্যের চিত্র মনে করাচ্ছে।
দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বাড়ছে করোনা পরীক্ষাও। কিন্তু করোনা কিট ঘিরে তৈরি হয়েছে সমস্যা। দেশে আরটি-পিসিআর কিট মাত্র ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ সাপ্লাই দিতে পারছেন দেশীয় সংস্থাগুলি। কিট প্রস্তুত করতে প্রয়োজনীয় উপাদান এবং সামগ্রী আনতে হয় বিদেশ থেকে। কিন্তু আমদানি শুল্ক বসায় সেখানে তৈরি হচ্ছে সমস্যা। অন্যদিকে রফতানি বন্ধ হওয়ার বাইরে ব্যবসার ক্ষেত্রেও জট তৈরি হয়েছে।