Advertisment

করোনায় আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলাদের প্লাসেন্টায় তৈরি হচ্ছে ক্ষত, রিপোর্টে বাড়ছে উদ্বেগ

আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল প্যাথোলজিতে প্রকাশিত হওয়া একটি সমীক্ষা বলছে করোনা আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলার প্লাসেন্টায় অস্বাভাবিক ক্ষতের ফলে রক্তক্ষরণ শুরু হচ্ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

করোনা থাবায় রক্ষা পাচ্ছেন না গর্ভবতী মহিলারাও। সম্প্রতি যে তথ্য সামনে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে গর্ভাবস্থা চলাকালীন কোনও মহিলা যদি করোনায় আক্রান্ত হন সেক্ষেত্রে আক্রান্ত হচ্ছে তাঁদের প্লাসেন্টাও। ১৬ জন মহিলার দেহে এই ঘটনা দেখা গিয়েছে যা কোভিড আতঙ্কের মধ্যে নতুন জটিলতার সৃষ্টি করেছে।

Advertisment

আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল প্যাথোলজিতে প্রকাশিত হওয়া একটি সমীক্ষা বলছে করোনা আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলার প্লাসেন্টায় অস্বাভাবিক ক্ষতের ফলে রক্তক্ষরণ শুরু হচ্ছে। যার ফলে মা এবং গর্ভের শিশু উভয়কেই জীবনমরণ সমস্যার সন্মুখীন হতে হচ্ছে। যদিও আমেরিকার নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মত যে এই সমীক্ষা আগেই হয়েছে। তাই এই অতিমারীর সময়ে গর্ভবতী মহিলাদের কতটা সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত তা জানান সম্ভব হয়েছিল।

আরও পড়ুন: মানব শরীরে সফলভাবে প্রয়োগ করোনা ভ্যাকসিন, সাফল্যের আশায় প্রহর গুনছে বিশ্ব

নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথোলজি বিভাগের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর জেফরি গোল্ডস্টেইন বলেন, "গর্ভাবস্থার নির্দিষ্ট সময়ের পর বাচ্চাদের ডেলিভারির সময় এমনটা হতে পারে। তবে হ্যাঁ প্লাসেন্টায় এই ভাইরাসটি ক্ষত তৈরি করছে।" জেফরি বলেন, "তবে এটি খুবই সীমিত তথ্য। এর উপর ভিত্তি করে এখনই কোনও ধারণা তৈরি করা উচিত নয়। কিন্তু কোভিড আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলাদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা উচিত।" ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই সহকারী প্রফেসর যিনি এই পেপারের আরেকজন লেখকও সেই এমিলি মিলার বলেন, "এই তথ্য সামনে আসার পর গর্ভবতী মহিলাদের নন স্ট্রেস পরীক্ষা করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে যে প্লাসেন্টাতে অক্সিজেন সঠিক পরিমাণে যাচ্ছে কি না। কিংবা আলট্রাসাউন্ডের মতো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বাচ্চার বৃদ্ধি। সবসময় এই ভয়ের খবর না পেলেও সমীক্ষায় যা তথ্য এসেছে তা আমাকে ভাবিয়ে তুলছে।"

আরও পড়ুন: ”কান্না চেপে রাখতে পারছি না”, গর্ভস্থ সন্তানের উদ্দেশে চিঠি শুভশ্রীর

গবেষকরা জানাচ্ছেন ১৯১৮-১৯ সালে হওয়া মহামারীর সময়ে যেসকল বাচ্চারা জন্মগ্রহণ করেছিলেন বা গর্ভস্থ ছিলেন তাঁরা সারাজীবন আর্থিক অনটনে ছিলেন ভালো কাজ না পাওয়ার কারণে এবং তাঁদের সকলেরই হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যা ছিল। উল্লেখ্য, করোনার অতিমারীত্ব দেখে অনেকেই ১৯১৮-১৯ সালে হওয়া মহামারীর সঙ্গে এর তুলনা করেছে। যদিও এই তথ্যে প্রসঙ্গে জেফরি গোল্ডস্টেইনের মত জ্বরের মতো উপসর্গ কখনই প্লাসেন্টা ভেদ করতে পারে না। তবে যেহেতু রোগটি ছোঁয়াচে ছিল তাই রোগ প্রতিরোধক শক্তি সেভাবে গড়ে ওঠেনি সেই সময় ভূমিষ্ট হওয়া শিশুদের দেহে।

Read the story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus
Advertisment