Advertisment

মানব শরীরে সফলভাবে প্রয়োগ করোনা ভ্যাকসিন, সাফল্যের আশায় প্রহর গুনছে বিশ্ব

প্রকাশিত পেপারে বলা হয়েছে যে যে ব্যক্তির উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে তাঁর দেহে ভাইরাসের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
immunisation coronavirus

ফাইল ছবি

দুনিয়া কাঁপানো করোনাকে ঠেকাতে একের পর এক গবেষণার পর অবশেষে মানব শরীরে সফলভাবে করোনাভাইরাস প্রতিষেধক প্রয়োগ করতে সক্ষম হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিন। প্রাথমিকভাবে আমেরিকার একটি বায়োটেকনোলজি সংস্থা মর্ডানা প্রতিষেধক টীকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে। এরপর চিনের কানসিনো বায়োলজিস সংস্থার তরফে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় কোভিড আক্রান্তের দেহে। উভয় সংস্থারই দাবি তাঁদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনে মানবদেহ থেকে সরানো যাবে এই ভাইরাসকে।

Advertisment

ইতিমধ্যেই বিশ্বে প্রায় ৫৫ লক্ষের উপর মানুষ আক্রান্ত এই নভেল করোনাভাইরাসে। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার ২৪৯ জনের। গোটা পৃথিবী কার্যত লকডাউনে বন্দি। ধুঁকছে সব দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। এই অবস্থায় একমাত্র ভ্যাকসিনই পারে দীর্ঘমেয়াদি এই সমস্যার সমাধান করতে। সেই লড়াইয়ে মরিয়া গবেষকরা এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০টি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে অন্যান্য রোগের মকিকিউল থেকে।

আরও পড়ুন: সংক্রমণ বাড়ছে, তবু কিছু রাজ্যে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি

কিন্তু ভারতে এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতের কাজ কতদূর? সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক ধাপেই রয়েছে ভারত। আগামী এক বছরের আগে ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। ভারত বায়োটেক, ইন্ডিয়ান ইমিউনুলোজিকাল এবং অন্যান্য সংস্থার তরফে একটি করে ভ্যাকসিন এবং জাইডাস সাডিলা সংস্থার তরফে দুটি ভ্যাকসিনের উপর এখনও কাজ চলছে।

আরও পড়ুন: ভাইরাস সংক্রমণ রোধে করোনা-রোবট, চেন্নাইয়ে সুপারহিট যন্ত্রমানব

তবে সম্প্রতি কোভিড ১৯ ভাইরাস রুখতে যে ভ্যাকসিন মানব শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে সেই খবর প্রকাশিত হয়েছে দ্য ল্যানসেট-এও। প্রকাশিত পেপারে বলা হয়েছে যে যে ব্যক্তির উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে তাঁর দেহে ভাইরাসের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠছে। এর আগে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি মোট ১০৮ জনের দেহে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছে যাদের দেহে ভ্যাকসিনের একটি ডোজ দেওয়া হয়েছিল তাঁদের শরীরে কিছু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কোষ (টি সেল) তৈরি হয়েছে দু সপ্তাহের মধ্যে। তবে এটি প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষা ছিল এবং এর কার্যকারিতার প্রমাণের জন্য আরও কয়েক হাজার লোকের মধ্যে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে তার যথাযথ বিচার করা হবে।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus COVID-19
Advertisment