ভারতে প্রায় প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণের রেকর্ড বৃদ্ধি ঘটছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭৬৭ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে রবিবার, সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৩১,৮৬৮ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৪৪৪১ জন। এদিকে দেশে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে মহারাষ্ট্র। করোনাভাইরাস আক্রান্তে এদিন ৫০ হাজার পেরোল সেই সংখ্যা। তবে ৩১ মে পর্যন্ত সে রাজ্যে জারি থাকছে লকডাউন এমনটাই জানিয়েছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। তবে মোদী সরকারের হঠাৎ করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল সেই বিরোধী সুরও শোনা যায় উদ্ধবের গলায়।
এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৭৩৫৬০। করোনার জেরে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৮৬৭ জনের। জেলায় নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে ঘাটতি ছিল। ফলে দ্রুতহারে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার থেকেই দেশজুড়ে নিয়ন্ত্রিত পক্রিয়ায় অন্তর্দেশীয় বিমান চলাচল শুরু হবে। তবে, এই পরিষেবাকে কেন্দ্র করে সংশয় দানা বেঁধেছে। মহারাষ্ট্র সরকার মুম্বই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে যে, ৩১ মে পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। ফলে বিমানে যেসব যাত্রী আসবেন বা যাবেন তাঁদের আনা-নেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকার করতে পারবে না।
পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৫৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য নতুন করে ১২৭ জনের শরীরে কোভিড ১৯ মিলেছে। বাংলায় করোনায় অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ১ হাজার ৯০৯। করোনা মুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৮১। করোনায় মোট প্রাণ গিয়েছে ১৯৭ জনের।
বিশ্বব্যাপী করোনার থাবা গভীরে। পৃথিবীতে মোট ৫.২ মিলিয়ন মানুষ করোনা পজিটিভ। মৃত ৩.৪ লক্ষ। সংক্রমণের নিরিখে এই মুহূর্তে আমেরিকার পরেই রয়েছে ব্রাজিল। তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। কলকাতায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮২৯। এরপরই রয়েছে হাওড়া (৪৯২), উত্তর ২৪ পরগনা(২৪৯), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৬৮), হুগলি (৭০)।
দেশে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে মহারাষ্ট্র। করোনাভাইরাস আক্রান্তে এদিন ৫০ হাজার পেরোল সেই সংখ্যা। তবে ৩১ মে পর্যন্ত সে রাজ্যে জারি থাকছে লকডাউন এমনটাই জানিয়েছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। তবে মোদী সরকারের হঠাৎ করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল সেই বিরোধী সুরও শোনা যায় উদ্ধবের গলায়।
দেশে করোনা সংক্রমণের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে মহারাষ্ট্র। এই পরিস্থিতিতে সে রাজ্যে লকডাউন বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর মতে, হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা যেমন ঠিক হয়নি, তেমনই এক লপ্তে তা শিথিল করাও উচিত হবে না।
মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের ভিডিয়ো বার্তা বলেছেন, 'এখনই বলা যাচ্ছে না লকডাউন ৩১ মে-র পরই শিথিল হয়ে যাবে। আমাদের আরও কিছুদিন দেখতে হবে। যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে আগামী দিনগুলো খুবই সঙ্কটময় হতে চলেছে। হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা যেমন ঠিক হয়নি, তেমনই এক লপ্তে তা শিথিল করা হলে আরও বড় ভুল হবে।'
বর্তমানে মনহারাষ্ট্রে প্রায় ৪৭ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ১,৫৭৭ জনের। যা দেশের নিরিখে সর্বোচ্চ।
একের পর এক গবেষণার পর অবশেষে মানব শরীরে সফলভাবে করোনাভাইরাস প্রতিষেধক প্রয়োগ করতে সক্ষম হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিন। প্রাথমিকভাবে আমেরিকার একটি বায়োটেকনোলজি সংস্থা মর্ডানা প্রতিষেধক টীকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে। এরপর চিনের কানসিনো বায়োলজিস সংস্থার তরফে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় কোভিড আক্রান্তের দেহে। উভয় সংস্থারই দাবি তাঁদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনে মানবদেহ থেকে সরানো যাবে এই ভাইরাসকে। বিস্তারিত পড়ুন
দুনিয়া কাঁপানো করোনাকে ঠেকাতে একের পর এক গবেষণার পর অবশেষে মানব শরীরে সফলভাবে করোনাভাইরাস প্রতিষেধক প্রয়োগ করতে সক্ষম হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিন। প্রাথমিকভাবে আমেরিকার একটি বায়োটেকনোলজি সংস্থা মর্ডানা প্রতিষেধক টীকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে। এরপর চিনের কানসিনো বায়োলজিস সংস্থার তরফে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় কোভিড আক্রান্তের দেহে। উভয় সংস্থারই দাবি তাঁদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনে মানবদেহ থেকে সরানো যাবে এই ভাইরাসকে। বিস্তারিত পড়ুন- মানব শরীরে সফলভাবে প্রয়োগ করোনা ভ্যাকসিন, সাফল্যের আশায় প্রহর গুনছে বিশ্ব
লকডাউনে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের বিশেষ উড়ানে দেশে ফেরার ক্ষেত্রে গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে আগত ভারতীয়দের এ ক্ষেত্রে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এরপরও তাঁদের ৭ দিনের হোন আইসোলেশনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টিনে থাকার খরচ দিতে হবে যাত্রীকেই। বিশেষ উড়ানে ওঠার আগেই গাইডলাইন মেনে চলার মুচলেখা যাত্রীদের দিতে হবে। তবে, প্রসূতি, পরিবারের কারোর মৃত্যু হলে, ১০ বছরের কম বয়সী সন্তান রয়েছে এমন বাবা-মা, সঙ্কটজনক আবস্থার রোগীদের অবশ্য এই গাইডলাইন মানতে হবে না। এক্ষেত্রে যাত্রীদের ১৪ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হবে।
ভিন রাজ্য থেকে যাঁরাই ওড়িশায় আসবেন তাঁদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকা আবশ্যিক বলে জানাল নবীন পট্টনায়েক সরকার। করোনা সংক্রমণ রোধেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।
এ রাজ্যে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত অন্তর্দেশীয় উড়ান পরিষেবা বন্ধ রাখার আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমফান দুর্যোগের জেরে লন্ডভন্ড বাংলা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে রাজ্য সরকারের আনুরোধে রাস্তায় নেমেছে সেনা। এদিকে সংক্রমণও বাড়ছে হুহু করে। তাই বিশেষ অবস্থার কথা বিবেচনা করেই কেন্দ্রের কাছে চিঠি লিখে এই আর্জি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, সোমবার থেকে দেশের সর্বত্র দেশীয় উড়ান পরিষেবা চালু হচ্ছে।
কলকাতার পাশাপাশি বাগডোগরা দিয়েও অন্তর্দেশীয় উড়ান চলাচলের কথা ছিল। কিন্তু রাজ্যের অনুরোধ, বাগডোগরা বিমানবন্দর দিয়ে আগামী ২৮ মে পর্যন্ত দেশীয় উড়ান পরিষেবা বন্ধ রাখা হোক। এ ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার চিঠি দিয়ে কেন্দ্রকে আবেদন জানাবে বলে শনিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়ুন বিস্তারিত
আগামী ১৫ জুন থেকে রাজ্যের স্কুল চালুর পরিকল্পনা করছে মহারাষ্ট্র সরকার। স্কুল শিক্ষামন্ত্রী ভার্সা গাইকোয়াড় জানিয়েছেন, পর্যাক্রমে স্কুল খোলা হতে পারে। রেড জোন ব্যাতীত অন্য সব জাযগায় প্রথমে স্কুল খুলবে।
লকডাউনের মাঝে দেশের মধ্যে যাত্রিবাহী বিমান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তা নিয়ে নির্দিষ্ট বিধিও ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আপাতত নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ায় বিমান চলবে। ইতিমধ্যেই বুকিংও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে রাজ্যে বিমান চালানোর পক্ষপাতী নয় মহারাষ্ট্র সরকার। এমনকি, আগামী ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন চলাকালীন অন্তর্দেশীয় বিমান চালানো নিয়ে এখনই নীতিগত অবস্থান বদলে রাজি নন উদ্ধব ঠাকরে প্রশাসন। উড়ান চালানোর জন্য কেন্দ্রের প্রস্তাবিত ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ নিয়েও এখনই কোনও প্রতিক্রিয়ায় নারাজ মহারাষ্ট্র সরকার। জানানো হয়েছে, এসওপি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও সময়ের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ মহারাষ্ট্র প্রশাসনের তরফে সাফ বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের বাইরে সব কিছু রাজ্যের দায়িত্ব।
করোনা আক্রান্ত অভিনেতা কিরণ কুমার। গত ১৪ই মে থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে রবিবার, সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৩১,৮৬৮ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৪,৪৪১ জন। এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৭৩,৫৬০। করোনার জেরে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩,৮৬৭ জনের।