ভারতে একদিনে সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩,৫৮৬ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে মোট কোভিড-১৯ পজিটিভের সংখ্যা ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫৩২ জন। ভারতে কোভিড রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার ২৪৮ জন হলেও করোনাজয়ীর সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। বর্তমানে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ৪ হাজার ৭১১ জন। এই পরিসংখ্যানেই রূপোলি আলো দেখতে পাচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ভারতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে মোট ১২,৫৭৩ জনের।
হরিয়ানাতে দ্রতগতিতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা বর্তমানে উদ্বেগ বাড়িয়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। অতি প্রকোপযুক্ত ভারতের প্রথম ১০ রাজ্যের তালিকায় ঢুকে পড়েছে হরিয়ানা। অন্যদিকে বিহারে করোনা সংক্রমণের হার কমছে, যা এই মুহূর্তে আশার আলো বলেই মনে করা হচ্ছে। এ রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশেরও কম।
কোভিড-১৯ চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরকুইনের কার্যকারিতা নেই বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরপরই ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সলিডারিটি ট্রায়ালের ২২ ক্ষেত্রে এই ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করা হবে। তবে, ইতিমধ্যেই যেসব রোগীর শরীরে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে চিকিৎসকদের নজরদারিতে তা চলবে বলে জানিয়েছেন আইসিএমআর-সংক্রমণ রোগ বিভাগের চিকিৎসক শীলা গোডবলে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা-লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
লকডাউনের পঞ্চম দফা জারি। শুরু হয়েছে ‘আনলক-ওয়ান’ পর্বও। কিন্তু ফের আঁটসাঁটও লকডাউন আশঙ্কা নানা মহলে। আনলক না ফের বজ্রআঁটুনি লকডাউন এ নিয়ে গুজবও ছড়াচ্ছে বিস্তর। সেইসব গুজব উড়িয়ে দিয়ে আনলক-কেই কীভাবে নতুন সমাধান হিসেবে ব্যবহার করা যায় সেই দিশা খুঁজতে বুধবার ১৪টি রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রীদের বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। কলকাতায় মোট কোভিড ১৯ অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২ হাজার ১৭৩। এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (৭৪৮),হাওড়া (৪৭২), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৩১৫), হুগলি (২৮০)।
করোনা চিকিৎসায় ক্লিনিক্য়াল ট্রায়ালের জন্য় ফাভিপিরভির ও ইউমিফেনোভির ওষুধকে অনুমোদন দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)।
দিল্লিতে বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসার খরচ কমানোর সুপারিশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দ্বারা গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন নীতি আয়োগের সদস্য় ড. ভিকে পাল। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, একটা আইসোলেশন বেডের দাম ধরা হয়েছে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। বর্তমানে যার খরচ ২৪ হাজার-২৫ হাজার টাকা। ভেন্টিলেটর ছাড়া আইসিইউ বেডের খরচ কমিয়ে ধার্য করা হয়েছে দিন পিছু ১৩-১৫ হাজার টাকা। ভেন্টিলেটর-সহ আইসিইউ বেডের খরচ ধার্য করা হয়েছে দিন পিছু ১৫ হাজার-১৮ হাজার টাকা।
বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার খরচ প্রায় অর্ধেক হচ্ছে। শুক্রবার এই মর্মেই নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। নির্দেশিকা অনুযায়ী, আইসোলেশন শয্যার জন্য খরচ হবে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। ভেন্টিলেটর বিহীন আইসিইউ শয্য়ার খরচ পড়বে ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা। ভেন্টিলেটর সহ আইসিইউ শয্যার খরচ হবে ১৮ হাজার টাকা।
কোভিড-১৯-এর জন্য এখনও কোনও প্রমাণিত বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা নেই। অন্য রোগের জন্য অনুমোদিত ওষুধ দিয়ে এই রোগের চিকিৎসা করা হচ্ছে।
২০০৩ সালে সার্স প্রকোপের সময়ে কর্টিকোস্টেরয়েড চিকিৎসার সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু দেশ যেসব রোগীর শ্বাসযন্ত্রে ভয়াবহ সংক্রমণ হয়েছে, তাঁদের উপর কর্টিকোস্টেরয়েড চিকিৎসা কীভাবে কার্যকর হয় সে নিয়ে গবেষণা করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও কর্টিকোস্টেরয়েডের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
২৭ মে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য অন্তর্বর্তী নির্দেশিকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাল নিমোনিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত কর্টিকোস্টেরয়েডের ব্যবহারের বিরুদ্ধে বলেছে। বলা হয়েছে সার্স কোভ ২, সার্স কোভ ও মার্স কোভের উপর কর্টিকোস্টেরয়েডের ব্যবহার নিয়ে পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের ফলে দেখা গিয়েছে এতে মৃত্যুর আশঙ্কা হ্রাস পায় না, হাসপাতালে থাকার সময়কাল কমে না, আইসিইউ -এর ভর্তি হার বা যান্ত্রিক ভেন্টিলেশন কমায় না এবং এর অনেক ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। পড়ুন বিস্তারিত
করোনা চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন মৃত্যু হার কিংবা সুস্থতা কোনটাই কম করছে না সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এই তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর এবার এই ওষুধের ট্রায়াল বন্ধ করল ভারত। ২২টি সাইট বেছে নেওয়া হয়েছিল এবং ৩৫০০ জন রোগীকেও নির্বাচন করা হয়েছিল এই ট্রায়ালের জন্য, জানিয়েছেন আইসিএমআর ন্যাশনাল এইডস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (নারি) এপিডেমিওলজি বিভাগীয় প্রধান ডাঃ শীলা গড়বোলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক্সিকিউটিভ গ্রুপে থাকা ডাঃ শ্রীনাথ রেড্ডি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই এই সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়মনীতি জানিয়ে দেওয়া হবে। নারি-র ডিরেক্টর ডাঃ সমীরণ পান্ডা বলেন যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের কার্যকারিতা নেই বলে জানান হলেও অন্যান্য রোগ নিরাময়ে এর ভূমিকা নিয়ে এখনও নির্ভরযোগ্য কোনও উত্তর জানা যায়নি।তবে হু-র নির্দেশ মেনেই এই ওষুধের সলিডারাটি ট্রায়াল বন্ধ রাখা হচ্ছে বলেই জানান হয়েছে।
করোনা মহামারীর ফলে ভারতের রাজনৈতিক কার্যকলাপও থমকে গিয়েছিল। স্থগিত হয়ে যায় রাজ্য়সভার নির্বাচন। তবে বাধা কাটিয়ে শুক্রবার ৮ রাজ্যের ১৯ আসনে রাজ্যসভা ভোট শুরু হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই ভোট চলবে। বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে লড়াই হড্ডাহাড্ডি বলেই মনে করা হচ্ছে।
লকডাউনের কারণে দেশে কর্মহীন হয়েছেন কয়েক লক্ষ শ্রমিক। করোনার জেরে কর্মক্ষেত্র ছেড়ে নিজভূমে পাড়ি দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা। এবার সেই সকল পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা করে দিতে ৫০ হাজার কোটির গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান প্রকল্প চালু করল কেন্দ্র।
এই প্রকল্প নিয়ে ২০ জুন বিহারে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রচারে বলা হচ্ছে, “নিজ নিজ রাজ্যে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিক এবং গ্রামের নাগরিকদের ক্ষমতায়ণ এবং জীবিকার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এই প্রকল্প।”
সরকারি এক আধিকারিক বিবৃতি জানিয়েছেন, “মিশন মোডে কাজ করবে এই প্রচারপর্ব। ১২৫ দিন ধরে এই প্রচার চালানো হবে। একদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান জন্য ২৫টি বিভিন্ন ধরণের কাজে মনোনিবেশ করা হবে। অন্যদিকে গ্রামীণ অঞ্চলের পরিকাঠামো উন্নত করতে ৫০ হাজার কোটি টাকাকেও ব্যবহার করা হবে।” পড়ুন বিস্তারিত
কিছুটা হলেও স্বস্তি। করোনা-মুক্তের সংখ্যা বাড়ল বাংলায়। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য়ে করোনা-মুক্ত হয়েছেন ৪৬৮ জন। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্য়ে করোনায় মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ হাজার ১ জন। বাংলায় করোনায় সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৫৪.৯৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ৪৩৫ জনের শরীরে মিলেছে কোভিড ১৯। বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৭৩৫। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য়ে করোনায় মৃত বেড়ে হয়েছে ৫১৮। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২১৬।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে মোট কোভিড-১৯ পজিটিভের সংখ্যা ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫৩২ জন। ভারতে রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার ২৪৮ জন হলেও করোনাজয়ীর সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। বর্তমানে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ৪ হাজার ৭১১ জন। এই পরিসংখ্যানেই রূপোলি আলো দেখতে পাচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ভারতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে মোট ১২,৫৭৩ জনের।