ভারতে করোনা সংক্রমিত ২ লক্ষের গণ্ডি ছুঁইছুঁই। মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশি পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে মোটা কোভিড পজিটিভের সংখ্যা ১,৯৮,৭০৬ জন। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৭,৫৮১। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৫ হাজার মানুষ। এ দেশে করোনার প্রাণ গিয়েছে মোট ৫,৫৯৮ জনের। দেশে করোনা সংক্রমণের গতি উর্ধ্বমুখী। এদিকে, করোনা চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল রেমডেসিভির প্রয়োগের ছাড়পত্র দিল ভারতের সর্বোচ্চ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কোভিড উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তি বা করোনা পজিটিভ সাবালোক ও শিশুর শরীরে এই ওষুধ প্রয়োগ করা যাবে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের পাশাপাশি ভারতেও 'আনলক-১.০' প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু, করোনাভাইরাসের শক্তিক্ষয়ের কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি বলে দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-য়ের। কনফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি বা সিআইআই-র ১২৫ বছর উপলক্ষে ‘গেটিং গ্রোথ ব্যাক’ নিয়ে এদিন প্রদানমন্ত্রী বলেন, 'আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেতে পারি যে, আমরা সকলে আমাদের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গতি ফিরিয়ে আনবই।'
বাংলাতেও সংক্রমণের গতি বৃদ্ধি অব্যাহত। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ২৭১ জনের শরীরে মিলেছে কোভিড ১৯। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলায় আরও ৮ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মৃত বেড়ে হয়েছে ২৫৩। এ রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৭৭২। করোনায় অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ১৪১। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩০৬ জন। প্রায় দু'মাস ঘরবন্দি থাকার পর 'আনলক ১'-এর প্রথম দিনেই কলকাতার রাস্তার মানুষ পথে বেড়িয়েছেন। অনেক জায়গাতেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ।
৬.২ মিলিয়ান মানুষ পৃথিবীজুড়ে করোনা সংক্রমিত। মোট মৃত্যু হয়েছে প্রায় পৌনে চার লক্ষ মানুষের। বিশ্ব করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় সবার উপরে আমেরিকা।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Coronavirus Lockdown Situation In India-West Bengal Kolkata Updates. করোনা-লকডাউন পরিস্থিতির সব খবর জানতে চোখ রাখুন এখানে...
সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। কলকাতায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০৪০। এরপরই রয়েছে হাওড়া (৬৩১), উত্তর ২৪ পরগনা (৪২০), হুগলি (১৩৪),দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১০৮)।
ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন কাজ করতে। কিন্তু লকডাউনের জেরে নিজ রাজ্যেই ফিরে আসতে বাধ্য হলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। নিজভূমে ফিরতে এই সকল শ্রমিকদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য প্রশাসন। তবে এরই মধ্যে বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় অনেকেই মঙ্গলবার থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন।
এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
ঘরে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। শ্রমিক স্পেলালে করে রাজ্যে ফিরেছেন লকডাউনে বিভিন্ন রাজ্য়ে আটকে পড়া বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা। স্টেশন থেকে বাসে করে তাদের গন্তব্য়ে পোঁছে দিচ্ছে রাজ্য় প্রশাসন। বারাসতে দেখা মিলল এমনই পরিযায়ীদের।
ছবি- শশী ঘোষ
নাগাল্যান্ডে নতুন করে ৬ জনের শরীরে করোনার জীবাণু ধরা পড়েছে। এরা প্রত্যেকেই রাজ্যের অর্থনৈতিক কর্মক্ষেত্র ডিমাপুর জেলার বাসিন্দা। এ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৯। আক্রান্ত ৬ জনই চেন্নাই থেকে নাগাল্যান্ডে ফিরেছিলেন।
ল্যান্সেটের এক গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে মহামারীর কার্ভ ফ্ল্যাট করতে কতকগুলি সাধারণ নিয়ম পালনই যথেষ্ট। আংশিকভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আর্থিক সহায়তায় এবং সারা পৃথিবীর গবেষকদের পরিচালনায় ৪৪টি গবেষণাপত্র (৭টি কোভিড-১৯, সার্সের ২৬টি ও মার্স নিয়ে ১১টি), যা ২৫৬৯৭ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে করা হয়েছে, তা থেকে মেটা অ্যানালিসিস করে দেখা হয়েছে সোশাল ডিসট্যান্সিং, চোখের সুরক্ষা উপকরণ ও মাস্ক পরলে কোভিড ১৯ কতটা আটকানো যায়।
এই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে বর্তমান নীতি অনুসারে ১ মিটারের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখলে সংক্রমণ সম্ভাবনা অনেকটাই কমে, তবে ২ মিটার দূরত্ব বেশি কার্যকর।
এই পরিসংখ্যানে আরও বলা হয়েছে যে ফেস মাস্ক স্বাস্থ্য কর্মী ও সাধারণ মানুষ, উভয়কেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয় এবং চোখের সুক্ষা উপকরণ অতিরিক্ত সুবিধাদায়ী। তবে এ সবের কোনও কিছুই সংক্রমণ থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দিতে পারে না, এবং এদের ভূমিকা বোঝার জন্য বেশ কিছু পরিপ্রেক্ষিতকেও সঙ্গে বুঝতে হবে। পড়ুন বিস্তারিত
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, 'করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করাই এখন সরকারের আগ্রাধিকার। এর জন্য কিছি তাৎক্ষণিক ও বেশকিছু দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যান প্রকল্পে পরিযায়ী ও গরীবদের সহায্য সহ ৫৩ হাজার কোটির বেশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সরকার হঠাৎ করে সংস্কার করেনি। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।'
'ভারতে থেকে বিশ্বের প্রত্যাশা বেড়েছে। করোনা মহামারীতে স্বাস্থ্য সরঞ্জাম দিয়ে ১৫০টি দেশকে সাহায্য় করেছে ভারত। বিশ্বের প্রত্যেক দেশই এখন বিশ্বস্ত বন্ধুর সন্ধান করছে। শক্তি ও সম্ভাবনার বিচারে এ দেশের সেই সম্ভাবনা প্রকট।'
'উদ্দেশ্য, অন্তর্ভুক্তি, বিনিয়োগ, পরিকাঠামো এবং উদ্ভাবনই দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। সংকট মোকাবিলায় ভারতের ক্ষমতা সমন্ধে আমি আশাবাদী। দেশীয় প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে আমি আস্থা রাখি। দেশের কৃষক, এমএসএমই ও বিনিয়োগকারীদের আমার বিশ্বাস দৃঢ়। তাই আমার বিশ্বাস, ফের বৃদ্ধির সরণিতে ফিরবে ভারতীয় অর্থনীতি।' সিআইআই-য়ের সভায় বলেন প্রধানমন্ত্রী।
কনফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি বা সিআইআই-র ১২৫ বছর উপলক্ষে ‘গেটিং গ্রোথ ব্যাক’ নিয়ে এদিন বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে তিনি বলেন, 'করোনা মহামারী আমাদের দুটো চ্য়ালেঞ্জের সম্মুখীন করেছে। প্রথমত সংক্রমণ রোধ করা, দ্বিতীয়ত অর্থনীতির গতি বজায় রাখা। অনলাইনে সবকিছু করাই এখন কাজের ধারা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এখন আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেতে পারি যে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গতি ফিরিয়ে আনবই।'
দিল্লির গাজিপুরে ফল ও সবজি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়
করোনা চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল রেমডেসিভির প্রয়োগের ছাড়পত্র দিল ভারতের সর্বোচ্চ ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কোভিড উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তি বা করোনা পজিটিভ সাবালোক ও শিশুর শরীরে এই ওষুধ প্রয়োগ করা যাবে। এমনটাই জানতে পেরেছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
বিগত বহু বছর ধরেই রেমডেসিভির একাধিক ভাইরাস ঘটিত রোগের চিকিৎসায় প্রয়োগ করা হচ্ছে। কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসাবেও এর কার্যকারীতা খতিয়ে দেখার কাজ চলছিল। অবশেষে করোনা চিকিৎসায় এই ওষুধ প্রয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছেন ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল ডাঃ ভি জি সোমানি। পড়ুন বিস্তারিত
করোনায় লকডাউন পরিস্থিতিতে দেশের রাস্তা বা ফুটপাথের বিক্রেতাদের জন্য বিশেষ প্রকল্পের সূচনা করল মোদী সরকার। সোমবার মাইক্রো ক্রেডিট স্কিম চালু করল কেন্দ্র সরকার। এই প্রকল্পে সহজ শর্তে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণের সুবিধা পাবেন ফুটপাথ বা রাস্তার বিক্রেতারা। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে রাস্তার দোকানিদের পাশে দাঁড়াতেই এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। পড়ুন বিস্তারিত
মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশি পরিসংখ্যান অনুসারে দেশে মোটা কোভিড পজিটিভের সংখ্যা ১,৯৮,৭০৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮১৭১ জন। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৭,৫৮১। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৫ হাজার মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ২০৪ জনের। এ দেশে করোনার প্রাণ গিয়েছে মোট ৫,৫৯৮ জনের।