ক্রমশ মিলছে লকডাইনের সুফল। স্বস্তি দিয়ে গত ৮১ দিনে ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণের রেকর্ড পতন নজরে এল। সক্রিয় রোগীর সঙ্গেই কমলো দৈনিক মৃত্যু হারও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করো কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছেন, ৫৮ হাজার ৪১৯ জন। একদিনে করোনামুক্ত হয়েছেন ৮৭ হাজার ৬১৯ জন। কমছে অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ ২৯ হাজার ২৪৩। বর্তমানে দেশে সক্রিয় কোভিড সংক্রিয় রোগীর রয়েছেন দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ১ হাজার ৫৭৬ জন।
ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে, ২ কোটি ৯৮ লক্ষ ৮১ হাজার ৯৬৫। এখনও পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ৮৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ৯ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সুস্থতার হার ৯৫ শতাংশের বেশি। দেশে ২ কোটি ৮৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ৯ জন এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা মুক্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন- করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে চরম সতর্কতা! ‘ঢিলেমি নয়’, রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের
পরিসংখ্যান কিছুয়া স্বস্তি দিলেও অবস্য আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে, এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তা যাতে মারাত্মক রূপ ধারণ না করে, তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র। তৎপর রাজ্য সরকারগুলোও। টিকাকরণে জোর দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৭ কোটি ৬৬ লক্ষের বেশি ভারতবাসী টিকা পেয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ১8 লক্ষ ১১ হাজার ৪৪৬ট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। অর্থাৎ সংক্রমণ ঠেকাতে ট্রেসিং ও টেস্টিংয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সংমক্রমণের মাত্রা কমতেই একাধিক রাজ্যে আনলক হয়েছে। মাস্ক, সামাজিক বিধি ভুলে রাস্তায় নামছে মানুষ। আর এই প্রবণতার মধ্যেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ লুকিয়ে থাকার আশঙ্কা গাঢ় হচ্ছে। রাজ্যগুলিকে আরও সতর্ক হওয়ার জন্যেও বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবদের এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, নমুনা পরীক্ষা, করোনা আক্রান্তের চিহ্নিতকরণ, চিকিৎসা এবং টিকাকরণে গাফিলতি করা যাবে না।।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন